এইমাত্র
  • গণহত্যা দিবস: আজ অন্ধকারে থাকবে দেশ
  • বেরোবিতে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
  • গাজীপুর ৩০ বোতল মদসহ আটক ২
  • দেশবিরোধী আন্দোলনে উসকানিদাতাদের গ্রেপ্তার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ১২ কারখানার মালিকের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার
  • ময়মনসিংহে কাভার্ডভ্যানের চাপায় প্রাণ গেল ২ জনের
  • আপনাদের ভালোবাসা ছাড়া আমি কিছুই না: তামিম ইকবাল
  • বরিশালে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে স্মৃতিচারণ ও অলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
  • অবশেষে ছাড়পত্র পেল শাকিব খানের ‘বরবাদ’
  • নৌকা প্রতীকে নিবন্ধন চেয়ে ইসিতে আবেদন
  • আজ বুধবার, ১২ চৈত্র, ১৪৩১ | ২৬ মার্চ, ২০২৫
    প্রবাস

    সৌদিতে সড়কের পাশ থেকে বাংলাদেশি ইমামের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

    আব্দুল্লাহ আল মামুন, সৌদি আরব প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৪ এএম
    আব্দুল্লাহ আল মামুন, সৌদি আরব প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৪ এএম

    সৌদিতে সড়কের পাশ থেকে বাংলাদেশি ইমামের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

    আব্দুল্লাহ আল মামুন, সৌদি আরব প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৪ এএম

    সৌদি আরবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর জিজানের একটি কারখানার মসজিদে ইমাম আল আমিন (৩৬) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

    নিহত আল আমিন দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর জিজানের একটি কারখানার মসজিদে ইমামতি করতেন। পাশাপাশি গাড়ি ভাড়ায় নিয়ে মানুষের বাড়িতে খাবার সরবরাহ করতেন।

    শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে দুর্বৃত্তের গুলিতে প্রাণ গেছে আল আমিনের।

    নিহত আল আমিন নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার মেঘনা নদীবেষ্টিত কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের উলুকান্দি গ্রামের লাক মিয়ার সন্তান।

    সৌদি আরবের ইয়েমেন সীমান্তবর্তী শহর জিজানের একটি কোম্পানির মসজিদে ইমামতি করতেন আল আমিন। সংসারের ধারদেনা মেটাতে ইমামতির পাশাপাশি মানুষে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতেন। শুক্রবার মসজিদে তারাবির নামাজ শেষে গাড়ি নিয়ে একই কাজ করতে বের হন আল আমিন। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর মরদেহ রাস্তায় পাশে পড়ে থাকতে দেখে লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

    তথ্যে জানা যায়, এক বোন ও তিন ভাইয়ের সংসারে আল আমিন সবার বড়। হাফেজি পড়াশোনা করেছিলেন। কোনো কিছুতেই সাফল্য না পেয়ে ভাগ্য ফেরাতে ধারদেনা করে ৫ বছর আগে সরকারিভাবে তিনি সৌদি আরবে যান। মাঝেমধ্যে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসতেন।

    সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বরে বাড়িতে এসেছিলেন আল আমিন। তখন স্থায়ীভাবে দেশেই থেকে যাওয়ার চিন্তা করছিলেন। কিন্তু এলাকায় কোনো কাজের ব্যবস্থা হয়নি। তাই সংসার পরিচালনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনা করে আল আমিন ছুটি শেষ হওয়ায় আগেই গত ৬ ফেব্রুয়ারি ফের সৌদি আরবে যান।

    আল আমিনের চোখ-বুকসহ শরীরের বেশ কয়েকটি স্থানে গুলির চিহ্ন রয়েছে। প্রচণ্ড রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে তাদের ধারণা। তবে কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সে বিষয়ে কোনো কিছুই জানা যায়নি। সৌদি পুলিশ উক্ত ঘটনার তদন্তে কাজ করছে, নিহতের মৃতদেহ স্থানীয় হাসপাতালের হিমঘরে সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে।

    এআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…