চট্টগ্রামের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্ত্রী রোমানা ইসলাম (৩৪) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২২ মার্চ সন্ধ্যায় নিজ বাসায় স্বামী জাফর আলী চৌধুরী (৪৩) হত্যার শিকার হন।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই চান্দগাঁও থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং এক দিনের মধ্যেই প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আফতাব উদ্দিন সময়ের কণ্ঠস্বর-কে বলেন, "গত ২২ মার্চ সন্ধ্যা ৬:১০ থেকে ৬:৫৫-এর মধ্যে যে কোনো সময় চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি-বক ব্লকের ৯ নম্বর রোডের একটি ফ্ল্যাটে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। ভিকটিম মোঃ জাফর আলী চৌধুরী ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে আসে, স্ত্রী রোমানা ইসলাম ছাড়াও আরও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।"
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নিহতের প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনে সন্দেহ প্রকাশ করেন। পরে পুলিশের কাছে খবর গেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে জাফর আলী চৌধুরীর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পরপরই চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফতাব উদ্দিনের নেতৃত্বে এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা থেকেই ২৩ মার্চ ভোর ৩:৪০ মিনিটে রোমানা ইসলামকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার হওয়া রোমানা ইসলামের স্থায়ী ঠিকানা চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ভূজপুর থানার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী বাড়ি। তার বাবার নাম মোঃ ফয়জুল ইসলাম এবং মায়ের নাম দিলরুবা ইসলাম। তবে বর্তমানে তিনি চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করছিলেন।
নিহত জাফর আলী চৌধুরী (৪৩) চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ভূজপুর থানার উত্তর ইদিলপুর এলাকার চৌধুরী বাড়ির বাসিন্দা। তার বাবার নাম জানে আলম চৌধুরী ও মায়ের নাম মোমেনা আলম চৌধুরী। তিনি বর্তমানে খুলশীর জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটির একটি ভবনের সপ্তম তলায় বসবাস করতেন।
পুলিশের ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে। তবে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, রোমানা ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং মামলার অন্যান্য সম্ভাব্য অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
এমআর