আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা শুরু করেছেন মানুষ। ফলে উত্তরের জেলাগুলোর গেটওয়ে হিসেবে পরিচিত ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে মহাসড়কে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের যমুনা সেতুপূর্ব ইবরাহীমাবাদ রেলস্টেশন এলাকা এবং এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ভোগান্তি এড়াতে ঈদের কয়েকদিন আগেই উত্তরবঙ্গের যাত্রীরা তাদের গন্তব্যের দিকে রওনা হচ্ছেন।
রাজশাহীর গাড়ির জন্য অপেক্ষারত শফিক সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, গাড়ির চাপ এড়াতে এবং নির্বিঘ্নে বাড়ি পৌঁছাতে আগেই রওনা দিচ্ছি। পরিবার নিয়ে যানজটের মধ্যে ভোগান্তি পোহানোর থেকে আগেই চলে যাচ্ছি।
সাধারণত প্রতিদিন এই মহাসড়কে গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ঈদ যাত্রায় তা বেড়ে দাঁড়ায় দ্বিগুনেরও বেশি। উত্তরবঙ্গের ২২ জেলার মানুষ ঈদযাত্রায় এই মহাসড়ক ব্যবহার করে। যার ফলে অনেকসময় যানজট লেগে থাকে।
প্রতিবারই ঈদযাত্রায় গলার কাটা হয়ে দাঁড়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পূর্ব পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার। তবে এবার যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়তে যাচ্ছে উত্তরের বাসিন্দারা। এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পূর্ব পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজের একপাশ ইতিমধ্যে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এতে যানজট কিছুটা কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এদিকে চালকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের আশঙ্কা, চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেন সড়কে যানজট না থাকলেও এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত এই ১৩ কিলোমিটারে যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হয়। সেইসঙ্গে টোলের ধীরগতি এবং চার লেনের সড়কের দুই লেন সেতু। সেক্ষেত্রে যানজট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা পয়েন্টে কর্মরত ট্রাফিক পরিদর্শক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারের নির্দেশে এবার ঈদযাত্রায় নির্বিঘ্নে ঘরমুখো মানুষের গন্তব্যে পৌঁছাতে সাড়ে ৭শ পুলিশ সদস্য কাজ করছে। এছাড়াও এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত ৪ লেন প্রকল্পের দুই লেন খুলে দেয়া হয়েছে। গাড়ির অতিরিক্ত চাপ বাড়লে ঢাকামুখী গাড়ি যমুনা সেতু পূর্ব গোল চত্তর থেকে গোবিন্দাসী-ভূঞাপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হবে। আশা করি এবার যানজট হবে না। যদি যমুনা সেতুর টোল আদায়ে বিঘ্ন ঘটে সেক্ষেত্রে যানজট হতে পারে।