এইমাত্র
  • চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জনের মৃত্যু
  • সুনামগঞ্জে নৌকাডুবিতে প্রাণ গেল পাঁচজনের
  • মিয়ানমারে ৩০ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপ থেকে এক নারীকে জীবিত উদ্ধার
  • সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, আগামীকাল ঈদ
  • বাংলাদেশে ঈদ কবে, যা জানাল মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম
  • রেকর্ড তাপপ্রবাহে পুড়ছে যশোর
  • দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • পাকিস্তানে ঈদ সোমবার
  • সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করছেন: রিজভী
  • চার স্তরের নিরাপত্তায় প্রস্তুত শোলাকিয়া, সকাল ১০টায় ঈদের জামাত
  • আজ রবিবার, ১৬ চৈত্র, ১৪৩১ | ৩০ মার্চ, ২০২৫
    আন্তর্জাতিক

    দক্ষিণ কোরিয়ায় দাবানলে প্রাণহানি বেড়ে ১৮

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২:২৯ পিএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২:২৯ পিএম

    দক্ষিণ কোরিয়ায় দাবানলে প্রাণহানি বেড়ে ১৮

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২:২৯ পিএম

    দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে দাবানল। ভয়াবহ দাবানলে এ পর্যন্ত অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে, নিউইয়র্ক টাইমস।

    দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের অন্তত পাঁচটি এলাকায় দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কয়েক হাজার দমকলকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। সামরিক বাহিনী তাদের সাহায্য করছে।


    রয়টার্স জানায়, শুষ্ক আবহাওয়ার মধ্যে প্রবল বাতাসের ইন্ধনে আগুন আরও তীব্র হয়ে উঠেছে আর এলাকার পর এলাকা পুড়িয়ে দিচ্ছে, স্কুলগুলো বন্ধ করে দিয়েছে আর কর্তৃপক্ষকে কারাগারগুলো থেকে বন্দিদের সরিয়ে নিতে বাধ্য করেছে।

    সরকার জানিয়েছে, প্রাণঘাতী এই দাবানলগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে আর ২৭ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।

    জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, কমপক্ষে ২৭ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে। পুড়ে ছাই দুইশ’র বেশি স্থাপনা। ধ্বংস হয়েছে ১৩শ’ বছরের পুরোনো বৌদ্ধ মন্দিরসহ বহু গাড়ি, কারখানা ও বাড়িঘর। প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার ফাইটার, সেনাসহ জরুরি বিভাগের প্রায় ৫ হাজার সদস্য।

    দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান দক সু বলেন, “সর্বকালের সবচেয়ে ভয়াবহ এই দাবানল মোকাবেলায় আমরা উপস্থিত সব কর্মী ও সরঞ্জাম নিয়োগ করেছি, কিন্তু পরিস্থিতি ভালো নয়।” দক্ষিণ কোরিয়ার থাকা মার্কিন সামরিক বাহিনীও আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় সহায়তা করছে বলে জানান তিনি।

    দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানায়, উইসেয়ং কাউন্টি থেকে শুরু হওয়া দাবানলে বুধবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টা পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে আর সানছং কাউন্টি থেকে শুরু হওয়া দাবানলের সঙ্গে সম্পর্কিত ঘটনায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

    স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের অনেকেরই বয়স ৬০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে।

    পার্বত্য এলাকা হওয়ায় দাবানল নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। কিন্তু রাতে চালানো যাবে এমন অগ্নিনির্বাপক আকাশযান ও ড্রোন আনা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বন দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ লি বাইয়ং দু।

    দক্ষিণ কোরিয়ার বন বিভাগের মুখপাত্র কিম জং-গুন জানান, ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও হেলিকপ্টার নেই এমন সমালোচনার মুখে কর্তৃপক্ষ আরও অগ্নিনির্বাপন হেলিকপ্টার আনার পরিকল্পনা করেছে।

    তিনি জানান, বুধবার পর্যন্ত ৪৯১৯ জন দমকল কর্মীকে ঘটনাস্থলগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের পাশাপাশি কয়েকশ পুলিশ কর্মকর্তা এবং সামরিক বাহিনীর ইউনিটগুলোও কাজ করছে। দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় ৮৭টি হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।

    এবারের দাবানলকে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম দুর্যোগ বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার শুরু হওয়া দাবানল মানবসৃষ্ট হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…