"পরিষ্কার কুমিল্লা, সুস্থ কুমিল্লা"— এই স্লোগানকে সামনে রেখে কুমিল্লার একদল তরুণ স্বেচ্ছাসেবক "গো ক্লিন গোমতি" নামে একটি পরিচ্ছন্নতা অভিযানের আয়োজন করেছে, যা শহরজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অভিযানের অংশ হিসেবে ২৫ মার্চ (সোমবার) দুপুরে নগরীর কাপ্তান বাজার পাক্কার মাথা থেকে ২০০ মিটার সামনে গোমতি নদীর তীরে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাঠপেন্সিলের উদ্যোগে ও দূর্বার বাংলাদেশ, ভলেন্টিয়ারস ফোরাম বাংলাদেশ, গোমতি টিম (কুমিল্লা সরকারি কলেজ), সবুজের শহর কুমিল্লা ও ওয়াইসিএসবিডি কুমিল্লা শাখার সহযোগীতায় এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সদস্যরা জানায়, কুমিল্লার প্রাণ গোমতি নদী, যা শহরের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ, বর্তমানে মারাত্মক পরিবেশদূষণের শিকার। বিশেষত, প্রতি বছর রমজান মাসে নদীর তীরে ইফতার শেষে জমে থাকা প্লাস্টিক, খাবারের উচ্ছিষ্ট ও অন্যান্য আবর্জনা নদীর সৌন্দর্য নষ্ট করছে। এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় থাকলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। তাই এবার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাঠপেন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা মো. সাব্বির খন্দকার বিষয়টি নজরে এনে মোজাম্মেল হোসেন অপূর্বর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং গোমতি নদী পরিষ্কার করার একটি সমন্বিত উদ্যোগ নেন। সাথে যুক্ত হয় কুমিল্লার আরও পাঁচটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন।
আয়োজকদের মতে, এই উদ্যোগ শুধু একদিনের জন্য সীমাবদ্ধ নয়, বরং ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে এমন কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে গোমতি নদী ও আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখা যায়।
আয়োজকরা কুমিল্লাবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন, ইফতার শেষে প্লেট, বাক্স বা উচ্ছিষ্ট খাবার যেখানে-সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে এবং নিজ দায়িত্বে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে।
এইচএ