ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ঘর মুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
শনিবার (২৯ মার্চ) সকাল থেকে লঞ্চঘাটে ভোগান্তি ছাড়াই ঘরমুখো মানুষ গুলো নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে দেখা যায়।
যাত্রীরা বলছে , ঘাট থেকে উঠে সিএনজি, অটো রিক্সা করে সহজে বাড়িতে ফেরা যাচ্ছে, দৌড়াত্বের শিকার হতে হচ্ছে না। তবে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী, ভাড়াসহ সকল হয়রানি রোধে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে বিশেষ লঞ্চ চালু থাকবে বলে জানান বিআইডব্লিউটিএ।
স্বল্প ভাড়া ও আরামদায়ক ভ্রমনের ফলে নৌপথে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে দক্ষিনাঞ্চলের অধিকাংশ যাত্রী যাতায়াত করছে লঞ্চ যোগে। ঈদ আসলে স্বাভাবিক কারণে যাত্রীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। চাঁদপুর রুটে ফরিদগঞ্জ, রামগঞ্জ, রায়পুর, হাজিগঞ্জ, কুমিল্লাসহ আশপাশ এলাকার হাজার হাজার যাত্রী চলাচল করে। এর ফলে চাপ বেড়ে যায় চাঁদপুর লঞ্চঘাটে। এ বছর নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষগুলো নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারছে বলেন ঢাকা থেকে আসা যাত্রীরা। লঞ্চ থেকে নামার পর সিএনজি ও অটোরিক্সা গুলো এবার শৃঙ্খলা বদ্ধ ভাবে ভাড়া নিচ্ছে। কোন ধরনের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে না।
বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা জানান ঈদ যাত্রী পরিবহনে চাঁদপুর-ঢাকা রুটে ২৪ টি লঞ্চ ও চাঁদপুর- নারায়ণগঞ্জ রুটে ১৩ টি ও বিশেষ লঞ্চসহ মোট ৫০ টি ছোট বড় লঞ্চ ঈদ উপলক্ষে চলাচল করছে। আর যাত্রী চলাচল করছে গড়ে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ হাজার ।
এ বিষয়ে চাঁদপুর নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মোঃ মুশফিকুর রহমান বলেন, এবছর যাত্রীদের তেমন কোন প্রকার হয়রানি নেই। নিরাপদ যাত্রায় নৌ পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ২৪ ঘন্টা নিয়োজিত রয়েছে। এটি ঈদের দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘাটে জোরদার থাকবে বলে জানান তিনি।
এসআর