যশোরের শার্শায় জামাল হোসেন হত্যা মামলায় আমানতউল্লাহ (২৫) নামের আরও এক আসামিকে আটক করেছে শার্শা থানা পুলিশ।
আটক আমানতউল্লাহ বেনাপোল পোর্ট থানার বারোপোতা গ্রামের মৃত তবিবর রহমানের ছেলে। এর আগে এ মামলায় মুল হত্যাকারি জাহিদ হোসেনকে আটক করে পুলিশ। ফেনসিডিল ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাদক ব্যবসায়ী জামাল হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
শুক্রবার ( ৪ এপ্রিল) দুপুরে যশোরের নাভারন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা থানা অফিসার ইনচার্জ কে এম রবিউল ইসলাম।
তিনি জানান, ঘটনার দিন ৩০ মার্চ আসামি জাহিদ ও ভিকটমি জামাল হোসেন কলারোয়া কাদপুর গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মিন্টুর বাড়ীতে যায়। সেখান থেকে মিন্টুর মোটরসাইকেলে ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল নিয়ে বারোপোতার দিকে যাচ্ছিল।পথিমধ্যে গোগার ইছাপুর জনৈক শফির ভাটার সামনে পৌছালে পুর্বপরিকল্পনা মোতাবেক জাহিদ তার মাথায় আঘাত করে। পরে জামাল হোসেন একটি গর্তে পড়ে যায়। এ সময় ওই এলাকার হাফিজুল, আমানতউল্লাহ, জুম্মন,বিল্লাল ও আলাউদ্দীনসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন হাতের কাঠের চলা, রামদা, চাকু দিয়ে জামালকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে শার্শা থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। জামাল সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলা কাদপুর এলাকার আয়ুব হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় পরের দিন জামালের পিতা শার্শা থানায় জাহিদসহ কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বাকী আসামিদের আটকে অভিযান চলছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এনআই