মেহেরপুরের গাংনীর কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলম হুসাইনের বিরুদ্ধে দুস্থ অসহায়দের চাল আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।
ঈদুল ফিতরে অসচ্ছল দুস্থ ও অসহায়দের জন্য সরকার কাজিপুর ইউনিয়নে ৬ হাজারেও বেশি মানুষের জন্য ১০ কেজি করে চাল বিতরণের জন্য বরাদ্দ করলেও শতাধিক ব্যক্তি চাউলের স্লিপ পেলেও চাল দেয়া হয়নি। এমনকি অসৌজন্য মুলক আচরন করে চালের স্লিপ কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান আলম হুসাইনের বিরুদ্ধে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) ১১ টার সময় উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নওদাপাড়া গ্রামের অসংখ্য মানুষ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে প্রতিবাদ করেন।
নওদাপাড়া গ্রামের রেজাউল হক ঈদুল বলেন, আলম হুসাইন চেয়ারম্যান রাতের আধারে অটো পাখিভ্যানে করে চাল নিয়ে গেছে তার লোকজনের মাধ্যমে। অথচ গরীব অসহায় দুস্থদের ১০ করে চাল আত্মসাৎ করেছে। চালের স্লিপ দিলেও দিনের পর দিন ঘুরিয়ে চাল দেয়া হয়নি। চাল আত্মসাৎ এর ঘটনায় চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করেন তিনি।
একই গ্রামের সাইদুর রহমান জানান, তিনি গত শুক্রবার বিকালে চাল দেয়া হবে জানিয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। মাইকিং শুনে চাল আনতে গিয়ে পাওয়া যায়নি। ইতোপূর্বে দুইবার চাল আনতে গেলে চাল দেয়া হয়নি। শতাধিক অসহায় দুস্থদের চাল না দিয়ে কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলম হুসাইন আত্মসাৎ করেছে।
একসেদ আলী বলেন, ঈদের আগে ৩ বার চাল আনতে গিয়েছিলাম কিন্তু দেওয়া হয়নি। অথচ চেয়ারম্যানের লোকজন বস্তাবস্তা চাল নিয়ে গেছে।
নওদাপাড়া গ্রামের মৃত সরাফতের স্ত্রী শহিদা খাতুন বলেন, আমরা রাজনীতি বুঝিনা সরকার ১০ কেজি চাল বরাদ্দ দিয়েছে সে মোতাবেক একটি চালের স্লিপ পেয়েছি কিন্তু দুইবার চাল নিতে গেলে দেয়া হয়নি।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের জন্য কাজিপুর ইউনিয়নে ৬ হাজার ২শ’৫৫ জনের জন্য ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।
কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলম হুসাইন বলেন, চাল রাখা আছে। আসলেই দেয়া হবে।
কাজিপুর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ মামুনুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেনি।
মেহেরেপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের ব্যবহৃত সরকারী মোবাইল নম্বরে কল দিলে তিনি রিসিভি করেনি।
এসআর