অশ্লীল ছবিসহ মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে অখিল সরকার (৪০) নামে এক যুবককে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আটককৃত অখিল দেলদুয়ার দক্ষিণপাড়ার মৃত বাবুলাল মন্ডলের ছেলে। সে পেশায় একজন স্বর্ণকার।
রবিবার (৬এপ্রিল) দুপুরে দেলদুয়ার দক্ষিণ বাজারে এ ঘটনা ঘটে ।
স্থানীয়রা জানায়,অখিল চন্দ্র সরকার মহানবী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) কে নিয়ে অশ্লীল ছবি যুক্ত করে কটুক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে কয়েকজন ব্যক্তি তার দোকানে এসে ওই ছবিটি ডিলিট করতে বলেন। কিন্তু সে ডিলেট করতে রাজি না হওয়ায় খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। রোববার উত্তেজিত জনতা তার দোকানে হামলা করে তাকে মারধর করে এবং দোকানে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে দেলদুয়ারের উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাব্বির আহমেদ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
এ সময় তিনি উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে অভিযুক্ত অখিল চন্দ্র সরকারকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়ে দেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে অখিল চন্দ্র সরকার পুলিশ পাহারায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টাঙ্গাইল জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক সামিউল আলিম জানান, আমাদের প্রিয় নবীজি কে নিয়ে কটুক্তি করলে তার জায়গা বাংলার মাটিতে হবে না। তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে হবে।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের টাঙ্গাইল জেলার যুগ্ম সদস্য সচিব সামুরাতুল ইসলাম ছামিন জানান, দেশকে অশান্ত করার জন্য একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে এ সব ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমাদের নবীজিকে অসম্মান করে যারা এসব করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
এদিকে অখিল চন্দ্রের সাথে ইসকনের যোগসূত্র রয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন দাবি করেছেন । ইসকনের সাথে যোগাযোগ রয়েছে এমন একজন হিন্দু যুবক সম্প্রতি ইন্ডিয়া ঘুরে এসেছে। যার সাথে অখিল চন্দ্রের ভালো সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
এ ব্যাপারে দেলদুয়ার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক হাওলাদার জানান, অভিযুক্ত অখিল চন্দ্র সরকার পুলিশ পাহারায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাব্বির আহমেদ জানান, খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক আনসার ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করি। পরে অখিল চন্দ্র সরকারকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়। বিষয়টি টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কে জানানো হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এনআই