এইমাত্র
  • পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব ঢাকা আসছেন আজ
  • বিশ্বকাপের আরও কাছে বাংলাদেশ
  • লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জামায়াত আমির
  • জিলাপির অপেক্ষায় থাকা সেই ওসি মনোয়ার হোসেন ক্লোজড
  • বিসিবিতে ঝটিকা অভিযানে ১৯-২০ কোটি টাকা লোপাটের আলামত পাওয়া গেছে
  • সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বেড়েছে ১৪ টাকা
  • সাংবিধানিক বিধি মেনে পার্লামেন্ট ভেঙে দিলো সিঙ্গাপুর
  • শিবগঞ্জে কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ
  • রাজবাড়ীতে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
  • 'ইউক্রেন যুদ্ধে লাখো মানুষের মৃত্যুর জন্য ৩ ব্যক্তি দায়ী': ট্রাম্প
  • আজ বুধবার, ২ বৈশাখ, ১৪৩২ | ১৬ এপ্রিল, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    সন্ত্রাসীদের পিটুনীতে যুবলীগ নেতা নিহত

    কামরুল হাসান, কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৯ এএম
    কামরুল হাসান, কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৯ এএম

    সন্ত্রাসীদের পিটুনীতে যুবলীগ নেতা নিহত

    কামরুল হাসান, কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৯ এএম

    নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের মিলন (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।

    সন্ত্রাসীদের হাত থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে শনিবার সকাল ৯টায় তার মৃত্যু হয়।

    এর আগে শুক্রবার রাতে চরপার্বতী ২নং ওয়ার্ডের রহিমিয়া এতিমখানার পাশে সন্ত্রাসীরা তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। নিহত আবদুল কাদের মিলন চরহাজারী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইসমাইল হোসেনের ছেলে এবং পেশায় একজন ঠিকাদারী ব্যবসায়ী।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ঠিকাদারী ব্যবসার সাথে যুক্ত ছিলেন। গত ৫ আগস্টের পর অনেকটা গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। গত সপ্তাহে ওমরাহ শেষ করে এক নিকট আত্মীয় স্ট্রোকরোগীকে দেখতে শুক্রবার রাতে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। চৌধুরীহাট-আমতলী রোডের ২৪ ঘন্টা এলাকায় ওঁৎ পেতে থাকা ২০-২২ জনের সন্ত্রাসীদল পথ রোধ করে সিএনজি থেকে নামিয়ে মিলনকে ব্যাপক মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ দুই দফায় গেলেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। এক পর্যায়ে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে মিলনকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শনিবার সকালে ঢাকার অদূরে কাঁচপুর এলাকায় তার মৃত্যু হয়।

    নিহতের ছোট ভাই আব্দুর রহীম রাকিব বলেন, রাত ৯টার দিকে আমার ভাই মিলনের ফোন পেয়ে দাগনভূঞা থেকে নিজ সিএনজি যোগে ফেরার পথে চুয়ানির টেক এলাকায় আমাদের সিএনজিকে অনুসরণ করে ২-৩টি মোটরসাইকেল। বিষয়টি আমার ভাই মিলন বুঝতে পেরে তার মামা শ^শুর যুবদল নেতা মাইন উদ্দিনকে মোবাইলে অবগত করেন।

    এরমধ্যে মোটরসাইকেল আরোহীরা আমাদের সিএনজির গতিরোধ করে এবং আমার ভাই মিলনকে ছিনিয়ে নিয়ে রহিমিয়া এতিমখানার সামনে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে লোহার পাইপ দিয়ে ৪ ঘন্টা আটকে রেখে দফায় দফায় পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। যুবদল নেতা মাইন উদ্দিন তাকে বাঁচাতে গেলেও হামলাকারীদের তোপের মুখে পড়ে তিনি চলে যান।

    পুলিশ নিয়ন্ত্রন না করলে আমাকেও হত্যা করতো সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীরা বলে, দুটো ব্যাগে অস্ত্র ছিল সেগুলো কি করছস, এটা বলে কাপড়চোপড় ও মালামালের দুটো ব্যাগও নিয়ে যায়। নিহতের ভাই আবদুর রহিম রাকিব বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করবেন বলে জানান।

    নিহতের স্ত্রী বিবি জুলেখা বলেন, জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই। তবে বারবার তাকে প্রশ্ন করলেও হতাকান্ডের সাথে কারা কারা জড়িত তাদের নাম বলতে পারেনি। নিহত মিলনের ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও নিয়ে গেছে হত্যাকারীরা। ওই মুঠোফোনে সব ধরনের তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।

    কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, নিহতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। রাতে তাকে আটকের খবর পেয়ে পুলিশের দু’টি দল ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আমরা তদন্ত করছি। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…