ভোলার চরফ্যাশনে পরীক্ষার কক্ষে শিক্ষার্থীর খাতায় লিখে দেয়ার দায়ে মাওলানা হাবিবুল্লাহ নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি দন্ডিত ওই শিক্ষককে পরীক্ষা গ্রহণের দ্বায়িত্ব থেকে অব্যহতি ও প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) চরফ্যাশন কারামাতিয়া কামিল মাদ্রাসা ৮ নম্বর কক্ষে আরবি দ্বিতীয় পত্র পরিক্ষায় এক শিক্ষার্থীর খাতায় লিখে দেয়ার দায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসনা সারমিন মিথী এই দণ্ড প্রদান করেছেন। দন্ডিত ওই শিক্ষক আসলামপুর কালিয়া কান্দি কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহ-সুপার পদে কর্মরত আছেন।
ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানাযায়, দণ্ডিত শিক্ষক মাওলানা হাবিবুল্লাহ চরফ্যাশন কারামাতিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের ৮নং কক্ষের দাখিল আরবি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলেন। ওই কক্ষে আসলামপুর মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেন। পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে তিনি এক শিক্ষার্থীর খাতায় লিখে দেন। ওই কেন্দ্রে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক চরফ্যাশন সরকারী কলেজের অধ্যাপক ইকবাল হোসেন পরীক্ষার্থীর খাতায় লিখে দেয়ার সময় ওই শিক্ষককে হাতে নাতে আটক করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওই শিক্ষককে অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন এবং পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যহতিসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহনের আদেশ দেন।
কেন্দ্র সচিব মাওলানা মো. নুরুল আমিন জানান, সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় আমার কেন্দ্রে ১৪টি পরীক্ষাকক্ষে নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষাগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। তারপরও ভুল বুঝাবুঝি থেকে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে চর আইচা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে মো. শাহীন নামের একজন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কেন্দ্র সচিব মো.শহীদুল্লাহ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসনা সারমিন মিথী জানান, পরিক্ষার কেন্দ্রে শিক্ষার্থীর খাতায় লিখে দেয়ার অভিযোগে তাকে অর্থদণ্ডিত করা হয়েছে।
এমআর