বরিশালে স্ত্রী লামিয়া ও তার স্বামী অটোচালক রাহাতের মৃত্যুর ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও দোষীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে বরিশাল সদর উপজেলায় চরকাউয়া ইউনিয়নে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্টিত হয়।
বিক্ষুব্ধরা জানান, এক বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে রাহাত ও লামিয়ার বিয়ে হয়। তাদের মধ্যে কোন ধরনের দ্বন্দ্ব ছিল না। তবে শ্বশুড়-শাশুড়ির সাথে লামিয়ার দ্বন্দ্ব লেগেই থাকতো। এ কারনে লামিয়ার উপর শ্বশুড়-শাশুড়ি নির্যাতন চালাতো। এমনকি তারা দুইজনই হাত তুলতো বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব বিষয় নিয়ে সালিশী হলেও শ্বশুড়-শাশুড়ি কারনে-অকারনে তাদের নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। পিতামাতা হওয়ায় রাহাতও তাদের কিছু বলতে পারতো না। সকলের ধারনা এসব বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে রাহাত তার স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে।
এ সময় দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
এর আগে ১৪ এপ্রিল সকালে নিজ কক্ষের দরজা না খোলায় গ্রামবাসী এসে দরজা ভেঙ্গে বিছানার উপর লামিয়া এবং ফ্যানের সাথে রাহাতের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় প্রতিবেশিরা। পরে সেই দিন দুপুরে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক বিরোধীদের জের ধরেই এমন ঘটনাটি ঘটেছে। তবে তদন্ত ছাড়া নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন অভিযোগ বা মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে ময়না তদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের ভিত্তিতে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এনআই