পরাণ, হাওয়া সিনেমা থেকে মহানগর,সিন্ডিকেট ওয়েব সিরিজগুলোতে নাসির উদ্দিন খান অভিনেতা হিসেবে প্রতিনিয়ত নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন নতুন উচ্চতায়। রুপালি পর্দা থেকে ওটিটিতে তিনি সমানভাবে উজ্জ্বল। ঈদ উপলক্ষে এই শক্তিমান অভিনেতার 'মাই সেলফ অ্যালেন স্বপন' শিরোনামের একটি ওয়েব সিরিজ মুক্তি পেয়েছে। সিরিজটি পরিচালনা করেছেন শিহাব শাহীন। এতে তার বিপরীতে দেখা গেছে আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রাশিদ মিথিলাকে। সম সাময়িক নানা প্রসঙ্গে সময়ের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে কথা হয় এই অভিনেতার। আলাপচারিতায় ছিলেন রবিউল ইসলাম রুবেল।
ঈদ কেমন কাটল?
ঈদ খুব চমৎকার কেটেছে। চাঁদ রাতে মাই সেলফ অ্যালেন স্বপন মুক্তি পায়। মুক্তির পরেই মানুষের অনেক পজিটিভ সাড়া পাচ্ছি। সবকিছু মিলিয়ে অনেক ভাল কেটেছে ঈদ।
'মাই সেলফ অ্যালেন স্বপন' শুটিংয়ের প্রতিবন্ধকতা কি ছিল?
শুটিং হয়েছে পাহাড়ি এলাকায়। যেহেতু সমতল এলাকা না। পাহাড় বেয়ে সবাই উঠেছি পুরো টিম। ডিরেক্টর, আর্টিস্ট, ক্যামেরাম্যান, তাদের এসিস্ট্যান্ট পাঁচজন। লাইট, ক্যামেরা বড় বড় ইন্সট্রুমেন্ট পাহাড় বেয়ে তোলা সত্যিই ভীষণ কষ্টের ছিল।
চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলার জন্য প্রস্তুতি কেমন ছিল?
'মাই সেলফ অ্যালেন স্বপন' পরে শুটিং হয়েছে। এর আগে সিন্ডিকেট'র মধ্যে অ্যালেন স্বপন চরিত্রটি ছিল। সিন্ডিকেটে কাজের সময় যে প্রস্তুতি ছিল সেটা মাই সেলফ অ্যালেন স্বপনে অনেক কাজে দিয়েছে। কারণ চরিত্র একই। কিভাবে সেই চরিত্রটি হাঁটে, কথা বলে আগে থেকেই জানতাম। আমার অন্যদিকে কাজ করতে হয়েছে। স্ক্রিপ্ট, সংলাপ নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে।
চরিত্রটি পর্দায় দেখার পর আপনি কি সন্তুষ্ট?
মানুষের সন্তুষ্টির কোনো শেষ নাই আসলে। সে জায়গা থেকে যতটুকু হয়েছে এবং দর্শক গ্রহণ করেছে সে হিসেবে আমি অবশ্যই সন্তুষ্ট। আর দর্শক সন্তুষ্ট মানেই আমি সন্তুষ্ট। আমার অনেকগুলো অসন্তুষ্টি থাকতে পারে তাতে কিছু যায় আসেনা। এটা অনেক মানুষের থাকে। কিন্তু যে যেই অঙ্গনে কাজ করে সে অঙ্গনের আশেপাশের মানুষ সন্তুষ্ট হলেই কাজ ঠিক মতো হচ্ছে বলে মনে হয়। আমার কাছে মনে হয় আমি এত নগণ্য একজন মানুষ কিন্তু এত মানুষ আমাকে ভালবাসে বা বেসেছে এটাই অনেক বড় প্রাপ্তি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক আলোচনা হচ্ছে আপনার চরিত্রটি নিয়ে। অনূভুতি কেমন?
মানুষের এতো প্রশংসা শুনে বুঝতে পারছি সবাই চরিত্রটিকে পছন্দ করেছেন। সবাই শুভ কামনা জানাচ্ছেন। এমনকি আমার শরীরের খেয়াল রাখার কথাও বলছেন অনেকে। সুস্থ থাকার কথা বলে কমেন্ট করছেন অনেকে। যখন আমি উপলব্ধি করি তাঁরা আমাকে অনেক ভালবেসেছেন, আমার কাজটা তাঁদের ভাল লেগেছে, তখন আমার চোখ দিয়ে পানি চলে আসে। আমি চোখ মুছি না, চোখের জলে ভেসে যেতে ইচ্ছে করে।
নিজের লাইফস্টাইল কিভাবে মেইনন্টেইন করেন?
আমি সবসময় হাসি খুশি প্রাণোচ্ছল ভাবে দিন কাটাতে চাই। কখনো মন খারাপ করে থাকতে চাইনা। শরীরের যত্ন নেয়ার চেষ্টা করি। কারণ, আমি উপলব্ধি করেছি নিজের মন এবং শরীরের ভার অন্য কেউ কখনো নিতে পারেনা। এখন রাস্তায় দেখা যায় ৬০-৭০ বছর বয়সের মানুষ দৌড়ায়। এই দৌড় যদি আমি ওই বয়সের অনেক আগে থেকেই শুরু করি তাহলে তো ভাল আমার জন্যই। একটু হালকা ব্যায়াম করা, খাবার দাবার ঠিক ভাবে খাওয়ার চেষ্টা করি, এই আরকি।
কেন দর্শক 'মাই সেলফ অ্যালেন স্বপন' দেখছে বলে মনে করেন?
এক কথায় দর্শক বিনোদিত হচ্ছে 'মাই সেলফ অ্যালেন স্বপন' দেখে। কারণ, গল্প, স্ক্রিপ্ট, নির্মান, সিনেমাটোগ্রাফি, সাউন্ড অনেক ভাল। প্রতিটি অভিনেতা-অভিনেত্রী অনেক ভাল করেছেন। একটা দৃশ্যের জন্যও যে চরিত্র এখানে এসেছে সেটাও দর্শককে মুগ্ধ করেছে। টুইস্টগুলো অনেক মজার এজন্যই মানুষ দেখছে।
টিভি নাটকে দেখা যাবে কি না?
আমি অভিনেতা। অভিনয়ের সব ক্ষেত্রেই আমাকে দেখা যাবে। কিন্তু সবকিছু আমার কমফোর্ট জোনে থাকতে হবে। কমফোর্ট জোন বলতে চরিত্র, গল্প, পরিচালক, সব কিছু মিলিয়ে ঠিক থাকলে দেখা যাবে।
আরআইআর