পুরুষত্বের জন্য প্রধানত দায়ী টেস্টোস্টেরন হরমোন। মানুষের হাড়ের ভর, চর্বির ভারসাম্যতা রক্ষা এবং রক্ত কোষ ও শুক্রানু উৎপাদনেও প্রভাব রাখে এ হরমোন। পেশির ভর ও শক্তিকে প্রভাবিত করে টেস্টোস্টেরন। এটি শুধু পুরুষদেরই নয়, নারীদের মাঝেও থাকে। পুরুষদের মধ্যে এ হরমোনের হার নারীদের তুলনায় ২০ গুণ বেশি। পুরুষের যৌন বৈশিষ্ট্যর জন্য দায়ী এ টেস্টোস্টেরন হরমোন।
কম চর্বির খাবার, উচ্চ প্রোটিন এবং ভাজাপোড়া খাবার টেস্টোস্টেরনের মাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে প্রদাহরোধী খাবার টেস্টোস্টেরনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
টেস্টোস্টেরনের ওপর প্রভাব বিস্তারকারী খাবারগুলো হলো:-
১। তেলযুক্ত মাছ: রুই, কাতলা, আর, বোয়াল ও চিতলের মতো তেলযুক্ত মাছ ওমেগা-৩-ফ্যাটি অ্যাসিড ভরপুর মাত্রায় থাকে। এটি টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করে।
২। কুমড়ার বীজ: জিংকের প্রাকৃতিক উৎস যা টেস্টোস্টেরনের মাত্রায় প্রভাব ফেলে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েন স্টেট ইউনিভার্সিটির মেডিসিন বিভাগের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, জিংক স্বল্পতায় বয়স্ক ব্যক্তিকে ছয় মাস জিংক সাপ্লিমেন্ট দেওয়ার পর তার টেস্টোস্টেরনের মাত্রা দ্বিগুণ হয়।
৩। আদা: এই মসলাতেও আছে জিংক। আদা অণ্ডকোষে অক্সিডেটিভ চাপ কমায়, নির্দিষ্ট অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এঞ্জাইমের কার্যকারিতা বাড়ায়, রক্তের শর্করা স্বাভাবিক রাখে, নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন এবং রক্ত প্রবাহ বাড়ায়। এসব বিষয় টেস্টোস্টেরনে ইতিবাচক প্রভাব রাখে।
৪। ডালিমের রস: প্রাকৃতিক উদ্ভিজ্জ পলিফেনল যৌগ সমৃদ্ধ এই ফলের রস, যা টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে।
৫। দুধ: দুধ শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যাদের ল্যাকটোজ়ে অ্যালার্জি রয়েছে, তাদের কাছে উদ্ভিজ দুধ ভাল বিকল্প হতে পারে। দুধের চর্বি এড়াতে চাইলে শুকনা ও রান্না করা মটর, আলুবোখারা, আলু ও সবজি থেকেও বোরন গ্রহণ করা যায়।
৬। স্যামন: ভিটামিন ডি, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডস এবং সেলেনিয়াময়ের মতো প্রচুর পরিমাণে টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধিকারক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ব্রাজিলের নর্থ ফ্লুমিনেন্স স্টেট ইউনিভার্সিটি ও ইতালির ইউনিভার্সিটি অফ পাজুয়ার যৌথভাবে করা সমীক্ষায় দেখা গেছে, পুরুষরা ৯০ দিনের জন্য সম্পূরক স্যামন তেল গ্রহণ করার ফলে তাদের টেস্টোস্টেরণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ ছাড়া সুষম খাদ্যাভ্যাস এ হরমোন বাড়াতে সহায়তা করে। তাছাড়া সুস্থ থাকতে সবসময়ই সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
এফএস