টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মো. খায়রুল বাশার ভূঁইয়া পাভেলের অপসারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা দলিল লেখক কল্যাণ সমিতি।এছাড়াও সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে বিভিন্ন লেখা ব্যানার ফেষ্টুন লাগিয়ে প্রতিবাদ করেছেন তারা।
ঘুষ ও দূর্নীতির অভিযোগ এনে মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে এসংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে দুই সাংবাদিককে সাব রেজিস্ট্রার তার এজলাশ পক্ষে আটক করে রাখলে অন্যান্য সংবাদ কর্মীরা সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত হয়ে ওই সংবাদিকদের সাথে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগদান করেন।প্রায় ৩ ঘন্টা পর বিকাল ৫ টায় তারা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, কালিহাতী উপজেলা দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম সরকার, সাবেক সভাপতি ইমান আলী, সহ-সভাপতি শাজাহান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাছুম সরকার, দলিল লেখক রামপ্রসাদ বসু, আব্দুল করিম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মো. খায়রুল বাশার ভূঁইয়া পাভেল কালিহাতী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদানের পর থেকে দাতা-গ্রহীতাদের প্রতিটি দলিল সম্পাদনে সরকারি উৎসে করের সমপরিমাণ অর্থ দাবি করছে। ওই পরিমাণ অর্থ না দিলে তিনি কোন দলিল সম্পাদন করেন না। এজন্য উপজেলায় বিভিন্ন প্রকার দলিল সম্পাদনের হার অর্ধেকে নেমে এসেছে। এছাড়া তিনি দলিল লেখক এবং দাতা গ্রহীতাদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেন। তার আচরণে ভদ্রতা-সভ্যতার লেশমাত্র নেই। তিনি প্রকাশ্যে দলিল প্রতি অর্থ দাবি করেন। অন্যথায় দলিল সম্পাদন বন্ধ রাখেন।
উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মো. খায়রুল বাশার ভূঁইয়া পাভেল এসব বিষয় অস্বীকার করে বলেন, কারো কাছে থেকে যদি সরকারি ফিসের বাইরে টাকা নিয়ে থাকি। সেটার প্রমান দেন,তাদের নিয়ে আসেন।
সম্মেলন শেষে দুই জন সাংবাদিক সাব-রেজিস্টারের অফিসে এক কর্মকর্তার বক্তব্য নিতে গেলে সংবাদ কর্মীদের অবরুদ্ধ করার হুমকি দেয় সাব-রেজিস্ট্রার।
পরে সংবাদ কর্মীরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করে এবং প্রায় তিন ঘন্টা অবস্থান করে সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে। পরে সাংবাদিক নেতাদের হস্তক্ষেপে অবস্থান কর্মসুচি তুলে নেন সাংবাদিকরা।
এসএফ