মানুষের মৌলিক চাহিদা বলতে খাদ্য (অন্ন), বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও নিরাপত্তাকে বোঝায়, কিন্তু প্রধানত অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থান- এই তিনটি। তবে এগুলি জীবনধারণের মৌলিক উপকরণ। মৌলিক অধিকার নয়।
কুড়িগ্রামে আজ ১৫ দিন থেকে বন্যা অব্যাহত আছে। নিম্নাঞ্চলের সড়কগুলো ডুবে আছে এখনো।
আজ (১৪ই জুলাই) একজন দানবীর মানুষের সহযোগিতায় কিছু ত্রাণ নিয়ে গিয়েছিলাম কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের উড্ডামারি গ্রামে।
শতাধিক পরিবারের মাঝে সেগুলো বিতরণ করছিলাম। হঠাৎ কয়েকজন মহিলা পেছন থেকে আমাকে তাদের বাড়িতে ডাকলেন। বাড়িতে গিয়ে দেখলাম বন্যার পানি এখনও শুকায়নি। আমি তাদের বাড়িতে গিয়ে দাড়িয়ে আছি অথচ বাড়িতে ডেকে তারা ঘর থেকে বেরোচ্ছিলেন না!
বাইরে থেকেই প্রশ্ন করলাম কিছু কি বলবেন? ঘর থেকে তারা বললো, আজ টানা ১৫ দিন থেকে পানিতে অবস্থান করছি। আমাদের পরনের কাপড়ের বেহাল অবস্থা। কাপড়গুলো পড়ার অনুপোযোগী। তারা আক্ষেপ করে আরো বললো কিছু কিছু লোক আসে খিচুড়ি, চিড়া, মুড়ি নিয়ে। কিন্তু কেউ পরনের কাপড় দেয় না।
এরকম আক্ষেপ ওই বাড়িতে থাকা আরও সাত আট জনের। যখন সেখান থেকে ফিরছিলাম অনেক মানুষ আমাকে বলছিল মহিলাদের ও ছোট ছোট বাচ্চা ও বৃদ্ধদের পরনের কাপড়ের বড়ই অভাব।
আমার মনে হয় বানভাসিদের খাদ্য সহায়তা (ত্রাণ) দেওয়ার পাশাপাশি বস্ত্রও ত্রাণ দেওয়া উচিত।
কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো নেমে যায়নি বন্যার পানি।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, জেলার ৯ উপজেলায় বন্যার্ত মানুষের জন্য এখন পর্যন্ত প্রায় ৫শ মেট্রিক টন চাল, ৩৫ লাখ টাকা ও ২৩ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
লেখক, এস এম ফয়সাল শামীম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট সময়ের কন্ঠস্বর- ইমেইল-faisalshamim07@gmail.com
এফএস