এইমাত্র
  • বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান হচ্ছেন ড. ইউনূস
  • শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার খসড়া তদন্ত প্রতিবেদন জমা
  • চলন্ত ট্রেনের ছাদে টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে ২ জনের মৃত্যু
  • বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার
  • সেভেন সিস্টার্স নিয়ে একই কথা বলেছিলেন ২০১২ সালে ড. ইউনূস: ড. খলিলুর রহমান
  • আমরা কখনোই বলিনি নির্বাচনের পরে সংস্কার: মির্জা ফখরুল
  • মালয়েশিয়ায় গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণ, আহত ১৪৫
  • চরমপন্থার সুযোগ কাউকেই নিতে দেওয়া হবে না: মাহফুজ আলম
  • তাপমাত্রা ও বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা
  • চট্টগ্রামে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
  • আজ বুধবার, ১৯ চৈত্র, ১৪৩১ | ২ এপ্রিল, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ভৈরবে বস্তায় আদা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

    উপজেলা করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ পিএম
    উপজেলা করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ পিএম

    ভৈরবে বস্তায় আদা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

    উপজেলা করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ পিএম

    কিশোরগঞ্জের ভৈরবের বিভিন্ন গ্রামের বাড়ির আঙ্গিনাসহ অনাবাদি জমিতে বস্তায় আদা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।

    এ বছর কালিকাপসাদ,ঝগড়ারচর, আতকাপাড়া,বাশগাড়ি,গজারিয়া ও মানিকদীতে ৬ হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছেন ওই এলাকার কয়েকজন কৃষক। এ পন্থায় আদা চাষে কৃষক লাভবান হবে। বস্তা প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা খরছ হয়। প্রতি বস্তায় গড়ে এক থেকে দেড় কেজি আদা উৎপাদন হয়। সে হারে ১ শত টাকা দরে বিক্রি করলেও অনেক টাকা লাভ হবে এমনটাই মনে করছেন আদা চাষীরা। বস্তায় আদা চাষ বৃদ্ধি পেলে এক সময় আমাদের দেশ থেকেও আদা বিদেশে রপ্তানী করা সম্ভব হবে বলছেন উপজেলা কৃষি অফিসার আকলিমা বেগম।

    সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে এ বছর বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তাদের পতিত জমি, বসতবাড়ির আঙ্গিনা, কিংবা সুউচ্ছ ভবনের ছাদেও আধুনিক পদ্ধতিতে বস্তায় আদা চাষ করছেন। এ বছর কালিকাপ্রসাদ উনিয়নের আতকাপাড়া ও নয়াহাটি, গজারিয়া, শিবপুর এলাকায় প্রায় ৬ হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছেন। এ ভাবে আদা চাষ করলে তুলনামূলক ভাবে রোগ বালাই হয়না এবং খরছও অনেক কম হয়। চাষের যায়গাটি ছায়াযুক্ত হওয়ায় হলে ফলনও ভালো হয়।

    প্রতি বস্তায় ৩টি করে বীজ রোপণ করতে হয়। প্রতি বস্তায় ১ কেজি করে হলেও ৬ হাজার কেজি আদা উৎপাদন হবে। বাজার দর ভাল থাকলে কম করে হলেও ৬ লাখ টাকার আদা বিক্রি করতে পারবে। বস্তায় আদা চাষ দেখে অনেকেই বাসা বাড়ির ছাদ , বাড়ির আঙ্গিনা, অনবাদি পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষ দেখে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মাঝে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বস্তায় উৎপাদিত আদা পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও বানিজ্যক ভাবে বাজার জাত করতে পারলে আয় হবে লক্ষ লক্ষ টাকা। এতে করে দেশে আদার চাহিদা কিছুটা হলেও পুরণ হবে। বস্তায় আদা চাষে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়াতে উঠান বৈঠক ও পরামর্শ দিতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন উপসহকারি কৃষি অফিসারগণ।

    চাষী আল আমিন, কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের আতকাপাড়া, নয়াহাটির কৃষক এনামুল হক ও আব্বাস মিয়া বলেন, আমরা কৃষি অফিসের পরামর্শে আমাদের বাড়ির আঙ্গিনায় পতিত জমিতে বস্তার মাঝে আদা চাষ করেছি। প্রথমে ভেবেছিলাম বস্তায় আদা চাষ করে আবার না লোকশানে পড়ি। এখন দেখছি ফলন ভাল হচ্ছে। একেক বস্তায় মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ টাকা খরছ হয়। ফলন হয় একে বস্তায় কম করে হলেও এক থেকে দেড় কেজি আদা উৎপাদন হয়। আমরা প্রায় ২ হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছি। আমাদের অনেক টাকা আয় হবে।

    ডা: মোহাম্মদ মিজানুর রহমান কবির, এম বি বি এস বলেন, আমি পেশায় একজন চিকিৎসক। আমার চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি কৃষির প্রতি আমার অনেক আগ্রহ ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ কারো বাড়ির আঙ্গিনা এমনকি অনাবাদি জমি যেন খালি না রাখে। কিছু একটা হলেও যেন আবাদ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনায় উদ্ভোবদ্ধ হয়ে আমার অনাবাদি জমিসহ বাড়ির আঙ্গিনাতেও বিভিন্ন সবজি বাগান আর ফলদ গাছও লাগিয়েছি। বস্তায় আদা চাষ এটা আমার কাছে নতুন পদ্ধতি বলে মনে হয়েছে। কৃষি অফিসার আকলিমা বেগমের পরামর্শ নিয়ে আমার বাড়ির আঙ্গিনাতে ১ হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছি। খলছ মাত্র বস্তা প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। ১ হাজার বস্তায় কম করে হলেও আশা করছি প্রায় দেড় থেকে ২ হাজার কেজি আদা উত্তোলন করা যাবে। এটা সম্পুর্ন দেশি জাতিয় আদা। এ আদা দিয়ে আমার নিজের চাহিদা পুরণ করেও আশা করছি আমার এলাকার চাহিদাও পুরণ করতে পারব। তাছাড়া কৃষির প্রতি আমার আগ্রহ আরো বিভিন্ন ভাবে। আমার বাড়িতে বাকি আরো কিছু যায়গা ছিল। সে যায়গাতে আমি বিভিন্ন সবজি বাগান ও ফলদ গাছ লাগিয়েছি। সেখান থেকে ভাল ফলন পাচ্ছি। সিগুলো নিজের পরিবারের চাহিদা পুরণ করে প্রতিবেশিদের মাঝেও দিতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।

    উপজেলা কৃষি অফিসার আকলিমা বেগম বলেন, এ বছর ভৈরবে প্রায় ৬ হাজার বস্তায় আদা চাষ হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে আমাদের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের পরামর্শ ও ঊঠান বৈঠক সহ সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে বস্তায় আদা চাষে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে আগ্রহ বাড়াতে কাজ করছেন। এ বছর উপজেলার কালিকাপ্রসাদ,শিবপুর, গজারিয়া,বাঁশগাড়ি, মানিকদী গ্রামে অধিক পরিমানে বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছে। এ ভাবে আদা চাষ করার ফলে কৃষকদের মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ টাকা খরছ হয়। একেকটি বস্তায় এক থেকে দেড় কেজি আদা পাওয়া যায়। এভাবে আদা চাষ করলে ফলন ভাল হয়। পোকা মাকড়ের উপদ্রব হয়না। এতে করে কৃষকরা অনেক লাভবান হতে পারবে। এ আদা পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও বানিজ্যিক ভাবে বাজারে বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হবে আদা চাষীরা। বর্তমান সময়ে বস্তায় আদা চাষ বানিজ্যিক কৃষিতে চলে যাচ্ছে। বস্তায় আদা চাষ বৃদ্ধি পেলে আমাদের দেশে বাহির থেকে আদা আমদানী অনেকটাই কমে যাবে। বস্তায় আদা চাষ বৃদ্ধি পেলে এক সময় আমাদের দেশ থেকেও আদা বিদেশে রপ্তানী করা সম্ভব হবে। আমরা আশা করছি এবছরের তুলনায় সামনের বছরে বস্তায় আদা চাষ দ্বিগুন বৃদ্ধি পাবে।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…