গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সহযোগী পরিচয় দানকারী রহিম সরকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১২ জানুয়ারি)বাসন থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সজিব দত্ত বাসান থানাধীন ভিটিপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, প্রতারণাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশের সূত্র জানা গেছে, রহিম সরকার অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির। স্কুলের বারান্দায় পা না দিলেও তিনি কখনো সাংবাদিক, কখনো পুলিশ, আবার কখনো ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে সাধারণ মানুষর সাথে প্রতারণা করতেন। তার প্রতারণার বিষয়টি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে আসার পরও তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রাকিব সরকারসহ একাধিক নেতার সঙ্গে পোস্টারে থাকলেও রহিম সরকার প্রতারণার কারণে কোথাও স্থায়ী হতে পারেননি। সবশেষ তিনি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যুক্ত হন। রহিম তার ছেলে জাকির হোসেনকে জাহাঙ্গীর আলমের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেন। এরপর তিনি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন।
রহিম সরকারের স্ত্রী সাবেক এসপি হারুনের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তিনি কারো তোয়াক্কা করতেন না। এসপি হারুনের ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতেন। জমি জালিয়াতিসহ নানা প্রতারণার সঙ্গে জড়িত এই রহিম সরকার। ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পক্ষে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর হামলা ও নাশকতার করার লক্ষ্যে গাজীপুর মহানগরের কয়েকটি এলাকায় তিনি জন্য জনবল সরবরাহ করেন বলেও জানা গেছে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দেশে ফেরার সময় রহিম সরকার একটি প্রবাসীর কয়েক লাখ টাকার মালামাল আত্মসাৎ করেন। এ নিয়ে স্থানীয় সালিশ হলেও তিনি মালামাল ফেরত দেননি।
বাসান থানার ওসি কায়সার আহাম্মেদ বলেন, রহিম এর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিলো আমাদের কাছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য আমরা অনেক দিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছিলাম। সর্বশেষ রবিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।