ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের এ্যম্বুলেন্স চালক শাহাদাত হোসেন চাকুরি হারিয়ে বেসামাল হয়ে হাসপতাল তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহম্মেদের উপর চড়াও হয়। চালক ডা. শামীমকে হাসপাতালের একটি কক্ষে আটকে হত্যার চেষ্টা করেছে। ঘটনার সময় কেউ যেনো তত্ত্বাবধায়ককে বাঁচাতে না আসে সেজন্য ঐ কক্ষের পাশের গেইটে আগেই তালা মেরে দেয় শাহাদাত।
তবে তত্ত্বাবধায়কের চিৎকারের টের পেয়ে আশপাশে উপস্থিত কর্মকর্তা কর্মচারী এবং রোগীর লোকজন কেচি গেটের তালা ভেঙে হাসপাতাল ডা. শামীমকে উদ্ধার করে। এদিকে খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে এ্যম্বুলেন্স চালকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
তাৎক্ষণিক থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ পত্র দেয় ডা. শামীম। অভিযোগ পত্রে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক লিখেছেন, '১০০ শয্যা বিশিষ্ট ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের এ্যম্বুলেন্স ড্রাইভার শাহাদাত হোসেন ১২ জানুয়ারি দুপুর দেরটায় আমার উপর হামলা ও হত্যা চেষ্টা চালায়। বিষয়টি টের পেয়ে আশপাশ উপস্থিত কর্মকর্তা কর্মচারীরা আমাকে উদ্ধার করেছে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গাড়ি চালক শাহাদাত হোসেনের চাকুরির মেয়াদ শেষ হয়েছে। চালক শাহাদাত এর কাছে এ্যম্বুলেন্সে রোগী পরিবহন বাবদ সরকারী ইউজার ফি জমা প্রদানের জন্য পত্র দেয়া হয়েছে। সে হাসপাতালের অফিসার্স কোয়ার্টারে অবৈধভাবে রুম দখল করে মাদক সেবন ও মাদকের কর্মকাণ্ড করেন। যাহা তাহার কর্মকাণ্ডে ও চলাফেরায় সন্দেহ হয়েছে।
ইতোপূর্বে শাহাদাতের এ্যম্বুলেন্স থেকে ৩৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১১ জানুয়ারি গাড়ি চালক শাহাদাত আমাকে হুমকি প্রদান করেন। সে আমার সরকারী বাসভবনের সিসি ক্যামেরাটি নষ্ট করেছে যা তার আচরণে প্রমানিত হয়।'
১০০ শয্যা বিশিষ্ট ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের এ্যম্বুলেন্স ড্রাইভার শাহাদাত হোসেনের এমন কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ বেআইনী ও হত্যা চেষ্টার শামিল। তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য ও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার পুলিশকে লিখিত অবগত করেন তত্ত্বাবধায় ডা. শামীম আহম্মেদ।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, 'হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহম্মেদের দেয়া লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগে উল্লেখিত আসামী গাড়ি চালক শাহাদাতকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এঘটনায় নিয়মিত মামলা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান। মামলা রুজুর পরে আসামি শাহাদাতকে আদালতে পঠানো হবে।'
হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে ঝালকাঠি সিভিল সার্জন এইচএম জহিরুল ইসলাম হাসপাতালের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে আমার বিরুদ্ধে লাগিয়ে রেখেছে। তার উদ্দেশ্য মহৎ নয়। শাহাদাতকে দিয়ে গ্যাঞ্জাম করানোর পিছনেও তার হাত আছে।'
এইচএ