চোখ মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যার মাধ্যমে সুন্দর এই পৃথিবীকে দেখা যায়। তাই চোখের সঠিক যত্ন নেওয়া অপরিহার্য। কিন্তু গত কয়েক বছরে নিম্নমানের জীবনযাত্রার কারণে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে রোগব্যাধি। ৫০-৬০ বছর বয়সের পর যেসব রোগ দেখা দিত, সেটা এখন ৩০-৩৫ পেরোলেই বাসা বাঁধে শরীরে।
এ ছাড়া বর্তমানে কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে খারাপভাবে প্রভাবিত হচ্ছে চোখ। ছোট-বড় সবার দৃষ্টিশক্তি বয়সের আগেই দুর্বল হতে শুরু করে। গ্যাজেট নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটালে চোখ মোটেও বিশ্রাম পায় না। এতে চোখের ওপর চাপ বাড়ার পাশাপাশি সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মিও চোখের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে কিছু খাবার। যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে ও সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সহায়তা করতে পারে। চলুন, জেনে নিই দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এমন কিছু খাবারের নাম—
আমলকী
ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আমলকী চোখের জন্য খুবই উপকারী। আমলকী খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।
শীতকালে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় আমলকী। প্রতিদিন ১টি আমলকী খেতে হবে। এটি রেটিনা ও লেন্সকে ফ্রি র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে এবং চোখকে স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে।
ব্রকলি
যেকোনো উপায়ে খাবারের তালিকায় ব্রকলি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ব্রকলি শুধু চোখ নয়, পুরো শরীরের জন্যই সুপারফুড হিসেবে কাজ করে।
এতে জেক্সানথিন ও লুটেইন নামক ক্যারোটিনয়েড রয়েছে, যা চোখের রেটিনায় পৌঁছে জমতে শুরু করে। এগুলো নীল আলোর কারণে ক্ষতি থেকে চোখকে রক্ষা করে। চোখের পেশি মজবুত করে এমন উপাদানও রয়েছে ব্রকলিতে।
ক্যাপসিকাম
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে ক্যাপসিকামও একটি ভালো সবজি। রঙিন শাকসবজি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো মনে করা হয়। এগুলো ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। ক্যাপসিকামে রয়েছে ভিটামিন সি। যা চোখের টিস্যুর ক্ষতি রোধ করে।
গাজর
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে প্রতিদিন ১-২ টি গাজর খান। এতে থাকা ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ করে। আর দুর্বল চোখ পুষ্টি পায়। গাজর খেলে শুষ্ক চোখের সমস্যাও দূর হয়।
পালং শাক
চোখের সুস্থতায় পালং শাক অবশ্যই খেতে হবে। চাইলে পালং শাক কাঁচা বা হালকা সেদ্ধ করে সবজি বা স্যুপে মিশিয়ে খেতে পারেন। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী পালং শাক। এতে রয়েছে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান, যা চোখকে অসুস্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। পালং শাকে লুটেইন ও জেক্সানথিন নামক ক্যারোটিনয়েড রয়েছে, যা রেটিনাকে ক্ষতিকারক নীল আলো থেকে রক্ষা করে।
এমআর