নারায়ণগঞ্জের বন্দরে যুবককে বলাৎকারের ঘটনায় প্রতিবাদ করায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির দুই সংগঠককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির আহ্বায়ক নিরব রায়হান জানান, সোমবার (১১ মার্চ) রাতে সংগঠক শিথিল ও জুবায়েরকে বিএনপির নেতাকর্মীরা বেধড়ক মারধর করে।
তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সাঈদ (৪০) নামের এক বলাৎকারকারীর বিপক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা অবস্থান নিয়েছিলো। সেখানে বাবু শিকদার নামে এক বিএনপি নেতা সেই বলাৎকারকারীর পক্ষ নিয়ে আমাদের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিবসহ কয়েকজন প্রতিনিধিকে আটকে রাখেন এবং জেলা কমিটির সংগঠক শিথিল ও জুবায়েরকে বাইরে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে রক্তাক্ত করে।
এদিকে এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব রিফাত হোসেন অন্তু বাদি হয়ে বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বন্দর থানাধীন শাহী মসজিদ পল্লী বিদ্যুৎ রোড এলাকার এক যুবককে নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বলাৎকার করে সাঈদ। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বিবাদী বাবু শিকদার (৪০) ও তার সহযোগীরা ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে ধামাচাপা দিয়ে সাঈদকে বাঁচানোর চেষ্টা করে।
রিফাত হোসেন অন্তু অভিযোগে উল্লেখ করেন, ঘটনাটি আমরা ছাত্রজনতা জানতে পেরে বন্দরের সাবেক ২১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাহেব আলীর অফিসে গিয়ে প্রতিবাদ জানাই। এতে বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিত হামলা করে। ফলে ওই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি হাসান (২২), জুবায়ের (২০), শিথিল ভূইয়া (১৯), মাহমুদল হাসান (২৩), সিয়াম মাহমুদ (২১), মূদুল (২০), ইসরাফিল (২১) গুরুতর আহত হন।
তিনি অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, বাবু শিকদার জুবায়েরকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন এবং নাকে ঘুষি মেরে রক্তাক্ত জখম করেন। আমাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বিবাদীরা আমাদের প্রকাশ্যে খুনের হুমকি দেয়।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনা আমি শুনেছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক প্রতিনিধি একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআর