এইমাত্র
  • সাংবাদিককে ফাঁসানোর চেষ্টাকারী মাদকের সেই দিদারুলকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’
  • নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ঘুমন্ত পুত্রবধূকে ধর্ষণ, শ্বশুর গ্রেপ্তার
  • ঠাকুরগাঁওয়ে যুবদলের পরিচ্ছন্নতা অভিযান
  • এস কে সুর, তার স্ত্রী ও মেয়ের বিরুদ্ধে আরও তিন মামলা
  • প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নত হয়নি: উপদেষ্টা রঞ্জন রায়
  • মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে অটোরিকশা চাপায় শিশুর মৃত্যু
  • রাজশাহীতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
  • অনলাইন ক্লাস শেষে ২৪ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
  • গৌরনদীতে বাসের ধাক্কায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নিহত
  • রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৩১৫ মামলা
  • আজ রবিবার, ২ চৈত্র, ১৪৩১ | ১৬ মার্চ, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী

    উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৩০ পিএম
    উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৩০ পিএম

    মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী

    উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৩০ পিএম

    রাজধানীবাসীর এক ভয়াবহ যন্ত্রণার নাম মশা। প্রতি বছরই কমবেশি এই যন্ত্রণায় ভুগতে হয় নগরবাসীকে। তবে এবার মশার উপদ্রব অন্যবারের তুলনায় একটু বেশিই বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা। চলতি রমজান মাসে যেন মশার উৎপাত আরও বেড়ে গেছে। বিকেল হতেই শুরু হয় মশার জ্বালা। এতে স্বস্তিতে ইফতারও করতে পারছেন না নগরবাসী। বাসাবাড়ি, দোকানপাট, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত সর্বত্রই মশার উপদ্রব। মশা নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রমও নজরে আসেনি নগরবাসীর।

    তুরাগ এলাকায় বাসিন্দা সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি ছাত্র। এক বন্ধুকে নিয়ে একটি রুমে থাকি। দিনের বেলা মশা একটু কম থাকলেও বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মশায় ভরে যায় পুরো রুম। কয়েল বা মশা তাড়ানো স্প্রে দিয়েও কাজ হয় না। সিটি করপোরেশন থেকে মশা নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রমও আমাদের নজরে আসে না। শুনেছি এ বছর নাকি মশা নিয়ন্ত্রণে অর্ধশত কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছ। তাহলে মশা নিয়ন্ত্রণ কেন হচ্ছে না, এটা আমার খুবই জানতে ইচ্ছে করে।’

    উত্তরখান এলাকায় শিউলী নামে এক গৃহিণী বলেন, ‘আমরা থাকি সাততলায়। সেখানেও কী পরিমাণ মশা সেটা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। আমি নিজেই অবাক হচ্ছি, এত উঁচুতে এত মশা এলো কীভাবে!’

    সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সিটি করপোরেশন থেকে ঠিকমতো মশা নিয়ন্ত্রণে ওষুধ দেওয়া হয় না। গত দুই মাসে তারা মশা নিয়ন্ত্রণের কোনো কার্যক্রম লক্ষ্য করেনি। ড্রেন পরিষ্কার করা হয় না। আশপাশে কিছু পরিত্যক্ত জঙ্গল রয়েছে, সেখানেও মশা নিধন করতে কোনো প্রকার ওষুধ দেওয়া হয় না।’

    এলাকাবাসী বলছেন, সামনে বর্ষা মৌসুমে মশার উৎপাত আরও বাড়বে। এতে এবারও ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। এজন্য আগেভাগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    আগে শহরের মশক নিধন কার্যক্রম স্থানীয় জনপ্রতিনিধি দেখভাল করতেন। গত ৫ আগস্টের পর সেই দায়িত্ব এসেছে একজন কর্মকর্তার ওপর। দুর্বল মনিটরিংয়ের সুযোগে অনেকটা গা-ছাড়া ভাব দেখা গেছে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের মধ্যেও।

    জানা যায়, সিটি করপোরেশন এলাকায় জনপ্রতিনিধি মশকনিধন কার্যক্রমের তদারকি ছাড়াও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজটি মনিটরিং করতেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কাউন্সিলরদের প্রায় সবাই আত্মগোপনে চলে গেছেন। বর্তমানে কয়েকটি ওয়ার্ডের সার্বিক কার্যক্রম দেখভাল করেন প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। এ কর্মকর্তার পক্ষে প্রশাসনিক কার্যক্রম শেষে মাঠপর্যায়ে গিয়ে মশকনিধন কার্যক্রম দেখভালের খুব একটা সুযোগ নেই। ফলে মশকনিধনে যে স্বল্পসংখ্যক কর্মী মাঠে কাজ করেন, তাদের মধ্যেও গা-ছাড়া ভাব চলে এসেছে।

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…