প্রেমের টানে অবৈভাবে কাঁটাতার পেরিয়ে রুপা শেখ (১৬) নামের এক ভারতীয় তরুণী বাংলাদেশের মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষােলটাকা ইউনিয়নের ভােলাডাঙ্গা গ্রামে এসে প্রেমিক তারিক আলীকে বিয়ে করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের ৪ মাস পরে ওই তরুণী বাংলাদেশে এসে বিয়ে করে প্রেমিককে। যা নিয়ে জেলা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে আলোড়ন। ইতোমধ্যে তাদের একটি কথোপকথনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, যেখানে তারা প্রেম ও বিয়ের সব ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে তারা বলেন, গত মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে আসেন ওই ভারতীয় তরুণী। এরপর প্রেমিক তারিক আলী (১৫) তাকে সঙ্গে নিয়ে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হেমায়েতপুর গ্রামে দুলা-ভাইয়ের বাড়িতে ওঠেন। সেখানে গত বুধবার তারিক ও রূপার বিয়ে হয়। পরেরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে তারিক তার প্রেমিকাকে তার গ্রামের বাড়ি ভোলাডাঙ্গা গ্রামে নিয়ে আসেন। প্রেমিক তারিক ভোলাডাঙ্গা গ্রামের ডাবলু আলীর ছেলে ও আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র। অপরদিকে প্রেমিকা রূপা শেখ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পোর্ট ক্যানিংয়ের হায়দার আলী শেখের মেয়ে এবং স্থানীয় শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ শিক্ষা নিকেতনের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী।
ভারতীয় তরুণী রূপা জানান, প্রেমের কথা পরিবারকে জানালে তারা মেনে নিতে অস্বীকার করে। তাই পরিবার ছেড়ে ভালোবাসার মানুষের কাছে এসেছি। পাসপোর্ট ছাড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসি। এখানে আসার পর আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
পাত্র তারিক আলী বলেন, ৪ মাস পূর্বে ফেসবুকের মাধ্যমে রুপার সাথে তার পরিচয় হয়। সে গত মঙ্গলবার আমার কাছে চলে আসে। তাকে পেয়ে আমি খুবই খুশি।
জানাজানি হলে তাদেরকে এক নজর দেখতে ভীড় করছেন স্থানীয়রাসহ দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষজন। তবে বিষয়টি নিয়ে গাংনী থানা ও উপজেলা প্রশাসনের কোন বক্তব্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
এনআই