শরীয়তপুর আদালতের পেশকার ও পিয়নদের জন্য ঘুষের নির্দিষ্ট পরিমাণ নির্ধারণের ঘটনায় জেলার আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম কাশেম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ কামরুল হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে আদালত।
রোববার (১৬ মার্চ) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল বাশার মিঞার স্বাক্ষরিত নোটিশে তিন দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে, অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
গত ৬ মার্চ দুপুর ২টায় জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী সভায় পেশকার ও পিয়নদের জন্য উৎকোচ গ্রহণের নির্দিষ্ট হার নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে সিআর ফাইলিং, দরখাস্ত, জামিননামা দাখিলসহ বিভিন্ন আইনি কার্যক্রমের জন্য নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। এই সিদ্ধান্তের রেজুলেশন কপি বিভিন্ন আদালতের পেশকার, পিয়ন ও কোর্ট পুলিশের জিআরওদের কাছে বিতরণ করা হয় এবং সমিতির সভাকক্ষে প্রকাশ্যে রাখা হয়, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
বিতর্কের পর বিষয়টি আদালতের নজরে এলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। এতে বলা হয়, উৎকোচ গ্রহণ বা প্রদানের যেকোনো উদ্যোগ বেআইনি ও বিচার বিভাগের নীতি বিরোধী। এ ধরনের সিদ্ধান্ত বিচার বিভাগের মর্যাদাহানি ঘটিয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ কামরুল হাসান দাবি করেন, তারা দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং আদালতের নীতি অনুযায়ী তারা ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থানে রয়েছেন। তিনি জানান, আদালতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং তারা লিখিতভাবে জবাব দেবেন।
অন্যদিকে, সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম কাশেম জানান, এমন কোনো রেজুলেশন নেওয়া হয়নি, বরং সাধারণ সম্পাদকের অসাবধানতাবশত স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ বিতরণ করা হয়েছিল, যা ভুল বোঝাবুঝির জন্ম দিয়েছে। তিনি দাবি করেন, একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিষয়টি ভাইরাল করেছে।
এসআর