এইমাত্র
  • কর্মীদের কর্মবিরতিতে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ
  • ‘স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ হবে না’ খবরটি সত্য নয়
  • সাংবাদিককে ফাঁসানোর চেষ্টাকারী মাদকের সেই দিদারুলকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’
  • নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ঘুমন্ত পুত্রবধূকে ধর্ষণ, শ্বশুর গ্রেপ্তার
  • ঠাকুরগাঁওয়ে যুবদলের পরিচ্ছন্নতা অভিযান
  • এস কে সুর, তার স্ত্রী ও মেয়ের বিরুদ্ধে আরও তিন মামলা
  • প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নত হয়নি: উপদেষ্টা রঞ্জন রায়
  • মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে অটোরিকশা চাপায় শিশুর মৃত্যু
  • রাজশাহীতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
  • অনলাইন ক্লাস শেষে ২৪ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
  • আজ সোমবার, ৩ চৈত্র, ১৪৩১ | ১৭ মার্চ, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    রাজধানীতে তারের জঞ্জাল, ঢাকা যেন তারের শহর

    উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৫ পিএম
    উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৫ পিএম

    রাজধানীতে তারের জঞ্জাল, ঢাকা যেন তারের শহর

    উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৫ পিএম

    রাজধানীতে বিদ্যুতের লাইনের বা টেলিফোনের খুঁটিতে ঝুলতে দেখা যায় ল্যান্ডফোনের ক্যাবল, ইন্টারনেট ক্যাবল, ডিশ সংযোগের ক্যাবল। এগুলো ঝুলন্ত তার বা ওভার হেড ক্যাবল। এই ক্যাবলগুলো প্রয়োজনীয় হলেও রাজধানীবাসীর জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে এসব ঝুলন্ত তার সংশ্লিষ্টদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য বারবার বলা হলেও কাজটি কখনোই ‍পুরোপুরি হয়নি।

    বিদ্যুতের খুঁটি ব্যবহার করে বছরের পর বছর ব্যবসা করছেন ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরা। ইন্টারনেট সংযোগের কল্যাণে গ্রাহকের তথ্য আদান-প্রদানের বড় সুবিধার পাশাপাশি মাথার ওপর ঝুলন্ত তারের জঞ্জালের কারণে বেড়েছে দুর্ভোগও। বিশেষ করে এসব তার এমনভাবে টানা হচ্ছে, যা বরিশাল নগরীর প্রধান প্রধান সড়কের সৌন্দর্য নষ্ট করছে। অপরদিকে, এসব তারের জঞ্জালের কারণে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার থেকে শুরু করে তারে আগুন লেগে বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনছে। এ জন্য ইন্টারনেট, সিসি ক্যামেরা এবং ক্যাবল টিভির (ডিশ লাইন) তার টানতে বিদ্যুতের খুঁটি ছেড়ে পৃথক ব্যবস্থার দাবি উঠেছে, যাতে নিরবচ্ছিন্ন সুবিধার পাশাপাশি দুর্ঘটনামুক্ত থাকতে পারেন নগরবাসী।

    উত্তরা সহ আশেপাশের এলাকাগুলোতেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অর্ধশতাধিক ইন্টারনেট কোম্পানির তার। বেশিরভাগ কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে রাজধানী ঢাকা থেকে। নগরীতে এসব কোম্পানির হাজার হাজার গ্রাহক রয়েছে। সর্বোচ্চ ৮শ’ টাকা থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন পাঁচশ’ টাকা পর্যন্ত মাসিক ভাড়া গুনতে হচ্ছে গ্রাহককে। এ ক্ষেত্রে অগ্রিম টাকা দিয়েই গ্রাহক সেবা পাচ্ছে। মাসিক টাকা দিতে একদিন দেরি হলে সঙ্গে সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এমনকি লাইন টানা তার থেকে শুরু করে সংযোগের জন্য ব্যবহৃত বক্সের দামও গ্রাহককে পরিশোধ করতে হয়। এর সঙ্গে রয়েছে লাইন টেনে দেওয়া কর্মচারীদের বকশিশও।

    আর প্রতিনিয়ত এ লাইনের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এ কারণে বিদ্যুতের খুঁটি থেকে শুরু করে টেলিফোন এবং সিটি করপোরেশনের লাইটের খুঁটি বছরের পর বছর ব্যবহার করছে এসব কোম্পানি। এতে বিদ্যুতের কোনও সমস্যা হলে ওই তারের কারণে খুঁটিতে ওঠানামা করা বিদ্যুৎ কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমস্যায় পড়তে হয়। আর ইন্টারনেট পরিষেবা গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি এতদিন করেছিলেন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতারা ও তাদের ক্যাডার বাহিনী। এসব কারণে বিদ্যুৎ ও টেলিফোন অফিসের কর্মকর্তারা বছরের পর বছর মুখ খুলতে পারছিলেন না। কথা বললে তাদের নানাভাবে হয়রানিসহ বদলি বা চাকরিচ্যুতির হুমকি-ধমকি পর্যন্ত দেওয়া হতো।

    ইন্টারনেট লাইন পরিচালনাকারী মো. রঞ্জু ও মনির খানসহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, গ্রাহকের ডাটা প্যাকেজ অনুযায়ী সরকারকে ভ্যাট দিতে হয়। সে ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন গ্রাহকপ্রতি ২৫ টাকা থেকে একশ’ টাকা পর্যন্ত ভ্যাট গুনতে হয়। এছাড়া অফিস এবং ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে কর্মচারী রাখতে হয়। প্রতিযোগিতার বাজারে কোনও সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করা হয়। তা না হলে গ্রাহক হারানোর সম্ভাবনা থাকে।

    তারাও দাবি করেন এখন প্রযুক্তির যুগ। একটা সময় প্রতিটি ঘরে ইন্টারনেটের লাইন থাকবে। এ ব্যবসাটা চলবে আজীবন। সরকারও বিপুল অঙ্কের ভ্যাট পাবে। সরকার থেকে বিদ্যুতের খুঁটির পরিবর্তে আলাদা কোনও ব্যবস্থা করলে ব্যবসায়ীদেরও সুবিধা হবে। বিদ্যুতের খাম্বায় উঠে ইন্টারনেট লাইনের কাজ করতে গিয়ে অনেক কর্মী আহত হয়েছে। আমরাও চাচ্ছি সরকার থেকে যেন পৃথক ব্যবস্থা করা হয়। তখন প্রতিটি কোম্পানি নির্দিষ্ট রঙের তার ব্যবহারের করবে। পাশাপাশি থাকবে নির্দিষ্ট লেন। এতে তারজট হবে না। সমস্যা হলে সহজেই তার চিহ্নিত করে কাজ করতে পারবেন। দ্রুত এ সমস্যা সমাধান করলে লাভবান হবে সরকার। একইসঙ্গে ব্যবসার প্রসারও বাড়বে।

    উত্তর সিটি করপোরেশনে চাকরি করা বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, তার জানা মতে প্রতিটি কোম্পানি থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার টানা বাবদ বিদ্যুৎ অফিস কিংবা সিটি করপোরেশনকে কিছুই দেয় না ইন্টারনেট কোম্পানিগুলো। অথচ তাদের কারণে খুঁটিসহ বৈদ্যুতিক তারে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। ইন্টারনেট কোম্পানিগুলো যাতে তাদের খুঁটি ব্যবহার না করে, এ জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…