প্রায় দুই যুগ ধরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর সংস্কার না হওয়ায় মানবেতর জীবন-যাপন পার করছেন মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ছায়া বিথী আশ্রয়নের পরিবার গুলো। এখানে ২৪০ টি পরিবার থাকার কথা থাকলেও বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় আশ্রয় নিয়েছে ২০ টি পরিবার।
কোন ধরণের সংস্কারের কাজ না হওয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে টিনের চালা, বেড়া আবার কোথাও দাড়িয়ে রয়েছে শুধু ঘরের খুঁটি গুলো। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে টিনের চালা গুলোতে পলিথিন ও ইট দিয়ে ঢেকে দিন পার করে চলছে তারা। আকাশে মেঘ জমলেই আতঙ্কে সময় কাটে তাদের। আর স্থানীয় প্রশাসন দিচ্ছে আশ্বাস খুব শিঘ্রই হবে সংস্কার কাজ।
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে ২০০২ সালে সেনাবাহিনীর অধীনে বাস্তবায়ন করা হয় ছায়া বিথী নামের আশ্রয়ন প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে ঘর নির্মাণ করে পুনর্বাসন করা হয় গৃহহীন ২৪০ টি পরিবারকে। কিন্তু নির্মানের প্রায় ২ যুগ পেরিয়ে গেলোও ঘর গুলো সংস্কার না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে দিন পার করছেন বাসিন্দারা। এখানে বসবাসরত দিনমজুর পরিবারগুলোর সামর্থ নেই ঘর গুলো মেরামত করার। এরই মধ্যে ঘর ও চালা গুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই ভিজে যায় ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র। একটু ঝড় বা বৃষ্টি হলেই আতঙ্কিত হয়ে পরেন তারা। তাছাড়া ঝড় বৃষ্টির দিনে লেখা পড়া কতে পারছে না স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় খুব শীঘ্রই সংস্কারের দাবি তাদের।
প্রকল্পের বাসিন্দা আছিয়া বেগম বলেন, এই সমস্ত জায়গায় গরীব মানুষেরাই থাকে। তাই তো কোন নজর নেই আমাদের দিকে। ঘরের খুঁটি,বেড়া, চালার টিন সবই নষ্ট হয়ে গেছে। চালার উপরে কোন রকমে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
বাসিন্দা জয়নাল হোসেন বলেন, আমরা ঘরে বসে রাতের আধাঁরে চান্দের আলো দেখি। আমাদের কাছে জন প্রতিনিধি শুধু ভোটের সময় আসে এর পরে আর দেখা পাই না।
এ বিষয়ে কালকিনি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ জানান, ঘরগুলো সংস্কারের জন্য পরিদর্শন করেছি এ প্রকল্পের বিষয়ে রিপোর্ট হয়েছে। সেটা প্রাক্কলনের পর্যায় রয়েছে। যাবতীয় কার্যক্রম শেষ হলে নতুন ঘর কিংবা সংস্কারের জন্য সরকারকে জানাবো।
এসআর