মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় ১ লাখ টাকায় রফাদফার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটি ইউনিয়নের শিমুলতলি সাইপাড়া গ্ৰামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটি ইউনিয়নের শিমুলতলি সাইপাড়া গ্রামে মঙ্গলবার দুপুরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে উজির নামের ৬০ বছরের বৃদ্ধকে আটক করে এলাকাবাসী। এতে একপ্রকার চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করে এলাকায়। পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান গ্রাম্য সালিশে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও ধর্ষণের চেষ্টাকারীকে মারধরসহ কান ধরে উঠবস করিয়ে ছেড়ে দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেন।
এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের ছবি তোলা, তথ্য সংগ্রহে বাধা দেন এবং সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ করে চেয়ারম্যান। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন বিষয়টি মান ইজ্জতের আপনারা বসেন।
চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ জিয়াউর রহমান এলাকাবাসীকে ঐ গ্রাম্য সালিশে বলেন, আমার ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান আছে। এরপর ধর্ষণের চেষ্টাকারী উজিরের পরিবারকে জিজ্ঞেস করেন কত টাকা আপনারা দিতে পারবেন ? অবশেষে উজিরের পরিবার ১ লাখ টাকা দিতে সম্মতি দেয়। পরবর্তীতে ৩০ মিনিটের ভেতর টাকা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন স্থানীয় চেয়ারম্যান জিয়াউর। উজিরের পরিবার নগদ ৬৯ হাজার টাকা চেয়ারম্যানের হাতে দিলে তা গৃহবধূর পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে বিষয়টি রফাদফা করে।
উক্ত বিষয়ে ফুকুরহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ জিয়াউর রহমান কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি ।
এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ যদি অভিযোগ করে তাহলে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) মো ইকবাল হোসেন বলেন, এই বিষয়টি আমার জানা নাই৷ তবে চেয়ারম্যান যদি বিধির বাইরে কোন কিছু করে থাকে তার যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
এসআর