গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের লস্করচালা এলাকায় সাবেক ৫৩৪ মৌজার ৯ খতিয়ানের বর্তমান হাল দাগ এসএ-১/৭,২, ও আরএস-৩নং দাগে ৬ একর ৯৭ শতাংশ বনভূমির জমির উওর ও পূর্ব পাশের বনের জমিতে মাটি ভরাট করে দখল নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএনপির নাম ব্যবহার করে আজিজ খান ও হাফিজ মিয়া এবং জসিম খানসহ একদল ভূমিদস্যুরা প্রভাব খাটিয়ে জমিটি দখলের পাঁয়তারা করছেন। এ নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মধ্যে।
এদিকে গাজীপুরের সহকারী বনসংরক্ষকের কাছে বনভূমির জমিতে অবৈধভাবে মাটি ভরাটের অভিযোগ পৌঁছানোর পরে কাশিমপুর বিট কর্মকর্তা সুলাইমান মিয়া জমিটি দখলমুক্ত করতে কার্যক্রম শুরু করেন। নির্দেশনা অনুযায়ী বনভূমি জমিটি ভরাট বন্ধ রাখতে ব্যবস্থা নেয়া হলেও রাতের আঁধারে ভূমিদস্যুরা বনভূমির জমিগুলো মাটি দিয়ে ভরাট করে পুনরায় দখলে নিয়েছে, যা প্রশাসনের নজরদারির প্রতি এক গুরুতর প্রশ্নচিহ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছে।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, বারবার এমন অবৈধ জবরদখলের ফলে বনভূমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে, যা প্রাকৃতিক পরিবেশ ও দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলছে। ক্ষমতাসীন ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও জবরদখল বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে স্থানীয়রা প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছেন।
এ বিষয়ে সহকারী বনসংরক্ষক (গাজীপুর) শাহিদুল হাসান শাকিল জানান, জবরদখলের বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। অতি দ্রুত বনভূমির জমিটি উদ্ধার করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।