পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ছোট ডালিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদের তালিকায় বির্তকিত ব্যক্তির নাম ও বিধিবর্হিভুত আরো এক ব্যক্তির নাম জেলা প্রশাসকের কাছে সুপারিশ করেছেন প্রধান শিক্ষক। এমন তথ্য আজ মঙ্গলবার প্রকাশ হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৫ মার্চ নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুব আলম বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদের জন্য তিনজনের নাম সুপারিশ জেলা প্রশাসকের কাছে সুপরিশ করেন।
ওই তালিকায় থাকা ১ নম্বরে রয়েছেন মো. শামীম আহসানের নামে এক শিক্ষককের নাম। শামীম আহসান ঢাকা তেঁজগাও এলাকার নাজনীন স্কুল এন্ড কলেজের একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত আছেন। বিধি মোতাবেক একজন প্রধান শিক্ষকের সমমান পর্যায়ের ব্যক্তি অথবা তার চেয়ে উপরের স্কেলে কর্মরত ব্যক্তি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা রাখেন।
এছাড়াও ওই সুপরিশ পত্রের দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছেন নাজনীন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. নূরুল ইসলামের নাম। তিনি ছিলেন, সাবেক স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের ঘনিষ্ঠ সহচর এবং আওয়ামীলীগ সরকারের দোসর হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন।
এছাড়াও আওয়ামীলীগ সরকারের সময় নাজিরপুর ছোটডালিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ছিলেন। এসব কারণে গত ৫আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর ছাত্র আন্দোলনের মুখে নুরুল ইসলাম ১৩ আগষ্ট অধ্যক্ষের পদ থেকে অব্যহতি দিতে বাধ্য হন।
তালিকায় তৃতীয় ব্যক্তির নাম মো. তোফাজ্জেল হোসেন। তিনি কেশবপুর ফজলুল হক ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক। এছাড়াও তিনি বাউফল পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাজিরপুর ছোটডালিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষক মাহবুব আলম নিজেও সরাসরি আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতেন। এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগ দলীও সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের ঘনিষ্ঠ সহচর। এ কারনে তিনি কৌশলে আওয়ামীলীগের দোষরদের তাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বানাতে চান। সেই লক্ষ্যে বিএনপির নেতার নাম তালিকার তিন নম্বরে পাঠিয়েছেন।
নাজিরপুর ছোট ডালিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুব আলম উল্লেখিত তিন ব্যক্তির নাম পাঠানোর কথা স্বীকার করে বলেন, বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই ওই তিন ব্যক্তির নাম জেলা প্রশাসক বরাবরে পাঠিয়েছেন। তিনি পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের চেয়্যাারম্যান মহোদায় বরাবর পাঠাবেন এবং তিনি (চেয়ারম্যান) অনুমোদন দিবেন।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ বলেন, এসব বিষয়ে তিনি কিছুই জানেনা। তবে বিএনপির নেতা তোফাজ্জেল হোসেনকে বাদ দিয়ে তালিকায় আওয়ামীলীগ সরকারের দোষরদের নাম তালিকার শীর্ষে পাঠানো খুবই দুঃখজনক।
এমআর