মহান স্বাধীনতা উপলক্ষে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন সাত কারাবন্দি। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলার তিন, সিলেটের দুই ও মৌলভীবাজারের আরও দুই জন রয়েছেন। মুক্তিপ্রাপ্তরা সবাই পুরুষ। তাদের বেশিরভাগই শারীরিকভাবে অসুস্থ। সব প্রস্তুতি শেষে গত ১৮ ও ১৯ মার্চ তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে কারা কর্তৃপক্ষ।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার শারমিন তানিয়া জানান, মুক্তিপ্রাপ্তরা সিলেট কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা খেটেছেন। তাদের বেশিরভাগই বৃদ্ধ ও সবাই পুরুষ। তাদের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক মুক্তি দেওয়া হয়।
কারা সূত্র জানায়, হত্যার অভিযোগে ৩০ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দণ্ডিত ছিলেন খোরশিদ আলী (৮১)। এর মধ্যে সাজা খেটেছেন সাড়ে ১১ বছর। তার সাজার বাকি আছে আরও প্রায় ১৮ বছর। তিনি শ্বাসকষ্ট, দৃষ্টিশক্তি সমস্যাসহ নানা রোগে অচল ও অক্ষম। এ ছাড়া চাচাতো বোনকে হত্যার দায়ে ৩০ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে কারাবন্দি ছিলেন শাহীনুর আলম (৫০)। তিনি ইতোমধ্য ২৮ বছর এক মাস ১৪ দিন সাজা খেটেছেন। স্ট্রোকের কারণে তিনি পক্ষাগ্রস্তসহ বার্ধক্যজনিত কারণে প্রায় অচল।
মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের হাড়গ্রামের হাজী আব্দুল মজিদের ছেলে খোরশিদ আলী, একই জেলার রায়পুর গ্রামের হাজী আনোয়ার পাশার ছেলে শাহীনুর আলম, জগন্নাথপুর পাড়ারগাও গ্রামের মৃত সৈয়দ উল্লাহর ছেলে সুফি মিয়া, সিলেটের বিয়ানীবাজারেরর দত্তগ্রামের সাজ্জাদ আলী ছেলে তেরা মিয়া, সিলেটের বিশ্বনাথের মৃত শমসের আলীর ছেলে বাদশা মিয়া, মৌলভীবাজার বড়লেখার মুরারপুল গ্রামের খোরশেদ আলির ছেলে হবিব আলী ও একই জেলার শ্রীমঙ্গলের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে শফিক মিয়া।
এইচএ