ঈদ সামনে রেখে নতুন গাড়ি তৈরি আর পুরাতন গাড়ি মেরামতের ওয়াকসপ গুলোতে চলছে বিরামহীন কাজ, দিনরাত এক করে ওয়াকসপ গুলোতে কাজ করছেন শ্রমিকরা। এসব বাস মালিকের সবারই লক্ষ্য, ঈদের যাত্রীদের বহন করা। এদিকে বাস মালিকরা বলছেন, ঈদযাত্রী বহনে অনেক নামিদামি কোম্পানি গুলো তাদের বাস মেরামত ও রং করে দৃষ্টিনন্দন করে।
গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের কালিয়াকৈর, চন্দ্রা, কবিরপুরসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ওয়াকসপে চলছে বাস মেরামতের কাজ। এসব ওয়ার্কশপ গুলোতে পুরাতন চেসিসজের উপরে নতুন করে বডি স্থাপনসহ করা হচ্ছে বিভিন্ন মেরামত। সেই সাথে দৃষ্টিনন্দন করার জন্য চলছে রঙের কাজ।ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণ ও আরামদায়ক করার জন্যই শেষ মুহূর্তে জুড়ে সুরেই প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন পরিবহন মালিক সমিতি।
এব্যাপারে গাজীপুর জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হাজী রিয়াজ উদ্দিন তার ব্যক্তবে বলেন, গাড়িগুলোর মান যেগুলো হলো মডেল আউট খুবই কম, বিশেষ করে আমাদের টার্মিনাল ভিত্তিক যেটা, এখন কিছু গাড়ি আছে ঈদের টাইমে বিভিন্ন ডিস্ট্রিক্ট থেকে আসে, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ থেকে বেশি আসে। আমরা অবশ্যই মিটিং করেছি, এখানে ব্যানার বিহীন, এসব গাড়িতে যাতে যাত্রী না নিতে পারে।
এদিকে সাংবাদিক ক্লাব,গাজীপুর এর সভাপতি রেজা চৌধুরী বলেন, ঈদ যাত্রায় দূরপাল্লার রোডে বাসের সংকট দেখা দেয়,আর এই সংকটকে কাজে লাগিয়ে লক্কর-ঝক্কর বাস গুলোকে নতুন রং লাগিয়ে সড়কে নামানো হয়।আর এমন যানবাহনই দুর্ঘটনার মূল কারণ বলে মনে করি।
এবিষয়ে নাওজোড় হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রইছ উদ্দিন জানান,ঈদযাত্রায় মহাসড়কে ফিটনেস বিহীন গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না।সেই সাথে যানজট নিরসনে কাজ করবে পুলিশের একাধিক টিম।
যাত্রীদের দাবি, নিরাপদ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যেন সব ধরনের প্রস্তুতি ন্যায় বাস মালিক সমিতি ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়।
এআই