এইমাত্র
  • চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জনের মৃত্যু
  • সুনামগঞ্জে নৌকাডুবিতে প্রাণ গেল পাঁচজনের
  • মিয়ানমারে ৩০ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপ থেকে এক নারীকে জীবিত উদ্ধার
  • সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, আগামীকাল ঈদ
  • বাংলাদেশে ঈদ কবে, যা জানাল মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম
  • রেকর্ড তাপপ্রবাহে পুড়ছে যশোর
  • দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • পাকিস্তানে ঈদ সোমবার
  • সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করছেন: রিজভী
  • চার স্তরের নিরাপত্তায় প্রস্তুত শোলাকিয়া, সকাল ১০টায় ঈদের জামাত
  • আজ রবিবার, ১৬ চৈত্র, ১৪৩১ | ৩০ মার্চ, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    টুঙ্গিপাড়ায় প্রবাসীর জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ

    মেহেদী হাসনাত, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম
    মেহেদী হাসনাত, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম

    টুঙ্গিপাড়ায় প্রবাসীর জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ

    মেহেদী হাসনাত, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম

    গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় কাতার প্রবাসীর জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়ও প্রবাসী মিজানুর রহমানের জায়গা থেকে মাটি কেটে চলেছে প্রতিপক্ষরা।

    অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার শ্রীরামকান্দি গ্রামের মৃত সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে রুহুল আমিন মোল্লা (৬৫) ও তার দুই ছেলে সবুর মোল্লা এবং কচি মোল্লা।

    স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ১৪৪ নং শ্রীরামকান্দি মৌজার এসএ ১৭৯৪ দাগের ১৯.৫০ শতাংশ জমির মালিক প্রবাসী মিজানুর রহমান। ১৯৯৪ সালে প্রতিবেশী আরোজ আলীর কাছে থেকে একই দাগে ১৯.৫০ শতাংশ জমি কিনে মোট ৩৯ শতাংশ জমির মালিক হন মিজানুর। কিন্তু ২০০০ সালে মিজানুরের টাকার প্রয়োজন হওয়ায় ২৮.৫০ শতাংশ জমি রুহুল আমিন মোল্লার কাছে বিক্রি করে। এছাড়া কয়েকবছর আগে মিজানুরের চাচা অন্য দাগ থেকে রুহুলের কাছে ১০ শতাংশ জমি বিক্রি করে। কিন্তু রুহুল মোল্লা সেই দাগে ঘর না উঠিয়ে মিজানুরের জায়গা দখলের উদ্দেশ্যে অস্থায়ী টিনের ঘর উঠিয়ে রাখে। বর্তমানে সেই জায়গা থেকে মাটি কেটে চলেছে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ রুহুল আমিন ও তার ছেলেরা।

    এবিষয়ে কাতার প্রবাসী মিজানুর রহমান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে অবস্থান করছি। কিন্তু টাকার প্রয়োজনে শ্রীরামকান্দি মৌজার এসএ ১৭৯৪ দাগের ২৮.৫০ শতাংশ জমি রুহুলের কাছে বিক্রি করি। পরে সে আমার চাচার কাছ থেকে অন্য দাগে ১০ শতাংশ জমি কেনার পর থেকে আমার জায়গা দখলের পায়টারা করছে। সেই বিষয়ে প্রতিবাদ করায় আমি দেশে ফিরলে আমাকে হামলা ও মামলার হুমকি দিচ্ছে। এছাড়া এসব ভূমিদস্যুদের সম্পূর্ণ সাপোর্ট দিচ্ছে বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক কিছু নেতা। তারা আমার জায়গা দেখাশোনা করার লোককেও হত্যা-ধর্ষন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে। আর আমি আমার জীবনের নিরাপত্তায় দেশেও ফিরতে ভয় পাচ্ছি। এই ভূমিদস্যদের কাছ থেকে মুক্তি পেতে আমি সরকার ও প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি।

    এবিষয়ে অভিযুক্ত রুহুল আমিন মোল্লা বলেন, আমি যেখানে ঘর উঠিয়েছি ও মাটি কাটছি সেই জায়গাটা মিজানুর রহমানের ৩৩ বছর আগে ভোগদখলে ছিলো। কিন্তু আমি তার চাচার কাছ থেকে জমি কেনার পর থেকে জায়গাটা আমি ভোগদখল করে আসছি। মিজান যেটুকু জায়গা পাবে সেটা অন্যপাশে রেখে দেয়া হয়েছে।

    টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মঈনুল হক বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়ার পরে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…