‘আমি বাঁচতে চাই, আমাকে সাহায্য করুন’ -এভাবেই বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন মারণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত বরগুনার তালতলী উপজেলার কাতার প্রবাসী মো. নিজাম উদ্দিন (৩০)।
নিজাম উদ্দিন উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের ছোট ভাইজোড়া গ্রামের মৃত জালাল আকন এর ছেলে। তিনি গত ৫ বছর ধরে কাতার প্রবাসী সেখানে একটি কোম্পানির সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসায় তাঁর ক্যান্সার রোগ ধরা পড়ে। যার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৪০ লাখ টাকা। যা তার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব না।
জানা যায়, ২০০৭ সালে দুরারোগ্য রোগে একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবাকে হারান নিজাম উদ্দিন। মা ও ছয় ভাই-বোনের পরিবারে মেজ ছেলে তিনি। বড় ভাই বিয়ে করে আলাদা সংসার পেতেছেন। তাই বড় পরিবারের ব্যয়বার বহন করার জন্য ২০১৯ সালে আত্মীয়-স্বজন ও বিভিন্ন এনজিও থেকে ৪ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে কাতার পাড়ি জমান। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে ও ঋণের টাকা পরিশোধ করতে প্রবাসে একটি কোম্পানির সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে দিনরাত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে থাকেন তিনি। পরে তিনি সংসার বাঁধেন। তার ঘরে জন্ম নেয় প্রথম কন্যা সন্তান তার বয়স এখন দুই বছর। গত ছয় মাস আগে প্রবাসে থাকা অবস্থায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হন নিজাম। পরে তিনি নিজ দেশে ফিরে আসেন এবং দ্রুত চিকিৎসার জন্য ভারতে চলে যান। সেখানে নারোবী হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ডা. প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরিক্ষার শেষে অপারেশনের কথা বলেছেন যার জন্য প্রয়োজন ৪০ লক্ষ টাকা। যা তার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব না।
এ অবস্থায় বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, আমি বাঁচতে চাই, আমাকে সাহায্য করুন। সবার কাছে আমার আকুল আবেদন, সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করুন। আমার একটি নাবালকা সন্তান আছে। নিজের জমানো টাকা ও স্বজনরে সহয়তায় বর্তমানে চিকিৎসা চলছে। টাকার অভাবে এখন বাড়িতে অবস্থান করছি। ওখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক অপারেশন করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। এখন টাকা সংগ্রহ হলে অপারেশনের উদ্দেশ্যে যাব।
তিনি আরও বলেন, ক্যান্সারের চিকিৎসা অত্যান্ত ব্যয়বহুল। এজন্য প্রয়োজন ৪০ লক্ষ টাকা। কিন্তু এত টাকা ব্যয় করার সামর্থ্য আমার বা পরিবারের নেই। তাই দেশবাসীর কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।
মো. নিজাম উদ্দিনকে সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা: +৮৮০১৭১৫১৬১৯০২ (বিকাশ ও নগদ পার্সোনাল), ব্যাংক একাউন্ট নম্বার: ০২০০০১৯৩৩৭৪৭৩ (অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড), ৫১৯১৫৫৩৩৫৩৯০৯২৭৪ (ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড)
এসআর