আর মাত্র পাঁচ দিন পরই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল ফিতর। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নাড়ির টানে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। তবে ঈদ যাত্রার দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে নেই চিরচেনা সেই ভীড়।
সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার বুকিং এজেন্ট মেহেদি হাসান সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, এবার ভাবছিলাম ঈদ যাত্রা খুবই নাজুক হবে। গরম যানজট মিলিয়ে শঙ্কা ছিল। কাউন্টারে কোনো চাপ নেই। শিডিউল বিপর্যয়ও নাই। আমাদের গত ১লা মার্চ থেকে অনলাইনে বিক্রি হয়েছে অগ্রিম টিকিট। আপাতত কোন টিকিট দেওয়া যাচ্ছে না। প্রতিটি ট্রিপের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।
গাবতলী রজব আলী মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ কাউন্টারে যাত্রী নেই। অর্ধশত কাউন্টারের মধ্যে বেশ কিছু বন্ধ।
রোজিনা পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টার বাস সময়মতো ছেড়ে গেছে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। অন্য বছরের মতো ভিড় নাই, পাইনি যানজটের খবরও।
ডিএমপি ট্রাফিক পুলিশের মিরপুর বিভাগের গাবতলী পুলিশ বক্সের ইন্সপেক্টর (টিআই) মোঃ মাহফুজ সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, ২৭মার্চ ছুটি ঘোষণা করায় ২৭ রমজান উপলক্ষ্যে একটা বড় অংশ আগামীকালই গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এবারের ঈদে যাত্রী সেবা নিশ্চিত, চুরি ছিনতাই রাহাজানি, যাত্রী হয়রানিসহ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার রোধে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছেন পুলিশের উর্ধ্বতন মহল।
গাবতলী এবার দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীর ভিড় নাই। দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীরা যাচ্ছেন পদ্মা সেতু হয়ে। আবার পাবনার অনেক যাত্রী এবার যানজট এড়াতে ও সময় বাঁচাতে আরিচা হয়ে যাচ্ছেন। অনেক বছর পর এবারই প্রথম খুবই সুন্দর ঈদযাত্রা হচ্ছে। শুধু গরমটাই বেশি।
এসআর