নাড়ীর টানে ও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বিকেল থেকে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কে গণপরিবহন ও যাত্রীর চাপ বেড়েছে। বুধবার (২৬ মার্চ) বিকেলে মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
জানা যায়, আসন্ন ঈদুল ফিতরের ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে বিকেল থেকেই গণপরিবহন ও যাত্রীর ব্যাপক চাপ রয়েছে। থেমে থেমে চলছে পরিবহন। এদিকে যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল ও পিকআপ ভ্যানে করে বাড়ি যাচ্ছেন তারা।
জেলায় কিছু শিল্পকারখানা ছুটি হয়েছে। এদিকে সরকারি বেসরকারি অফিস বন্ধ হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন তারা।ফলে মহাসড়কে যাত্রী ও গণপরিবহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান পুলিশ সদস্যরা।তবে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে যেন বাড়ি যেতে পারে তার জন্য পুলিশের বাড়তি নজরদারি রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এছাড়াও চুরি ডাকাতি ছিনতাই বন্ধে মহাসড়কে পুলিশের মোবাইল পার্টি টহল জোরদার করা হয়েছে।
রংপুরের আব্দুল আজিজ জানান, আমাদের গার্মেন্টস গতকাল ছুটি হয়ে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে ভোগান্তির আগেই চলে যাচ্ছি, গাড়ীর কিছুটা চাপ আছে তবে সব কারখানা ছুটি না হওয়ায় যাত্রীর চাপ তেমন নাই, রংপুরের মর্ডান মোড় এলাকায় যাবো ভাড়া ডাবলের চেয়ে অধিক চাচ্ছে,প্রশাসনের নজর না থাকলে বাড়ী ফেরা মানুষ ভাড়ার ভোগান্তিতে পড়তে হবে।
রাজশাহীর বিলকিস বেগম বলেন, ছুটি পেয়ে আগেই চলে যাচ্ছি,ভাড়া বেশী চাচ্ছে বেতন পাই আর কত বাড়িতে যাওয়া আসায় সব চলে যায়, ভাড়ার বিষয়টা সরকার নির্ধারণ করে দিলে, আমরা অধিক ভাড়া দেয়া থেকে রেহায় পেতাম।
গাজীপুর রিজিয়নের সাভার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ শওকাতুল আলম সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ন পেয়েন্টে আমাদের পুলিশ থাকবে,যাতে যানজট না লাগে, ঘরমুখো মানুষ ভোগান্তি ছাড়া নির্বিঘ্নে বাড়িতে পৌছাতে পারে সেই লক্ষ্যে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে। তাছাড়া ঈদকে পুঁজি করে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পেলে ঐ পরিবহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও চুরি, ছিনতাই যেন না হয় আমাদের সেই দিকেও নজর রয়েছে।
এসআর