হবিগঞ্জ শায়েস্তাগঞ্জে বিদ্যুৎ লাইন মেরামত করতে গিয়ে আহত লাইনম্যান মোবারক হোসেনের মৃত্যুতে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদর দপ্তর শায়েস্তাগঞ্জে এ কর্মসূচি পালন করে লাইনম্যানবৃন্দ।
হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মরত লাইনম্যানবৃন্দের সভাপতি লাইন টেকনিশিয়ান ইব্রাহিম রেজা বলেন- বুধবার (১৯ মার্চ) সমিতির এজিএম (ইএন্ডসি) শফিকুল ইসলাম ও জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার কবিরুল ইসলাম লাইনম্যান গ্রেড-১ মোবারক হোসেন (৪০) এবং রুবেল হোসেনসহ (৩১) আরো কয়েকজন লাইনম্যানকে নিয়ে যান শায়েস্তাগঞ্জের বাখরনগর এলাকায়। তারা লাইন মেরামতের জন্য বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠেন। এ সময় ওই দুই কর্মকর্তার দায়িত্ব অবহেলার কারণে লাইনম্যান মোবারক হোসেন ও রুবেল হোসেন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হন। আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে তাদেরকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে মোবারক হোসেন মারা যান। আহত রুবেল হোসেন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থাও তেমন একটা ভালো নয়। মৃত্যুর আগে জোরপূর্বক মোবারক হোসেনের কাছ থেকে কর্মকর্তাদের পক্ষে জবানবন্দি নেওয়া হয়। একইভাবে জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় আহত রুবেল হোসেনের কাছ থেকেও।
মোবারক হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সদাশিবপুর গ্রামের রইশ উদ্দিনের ছেলে। তিনি হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বড়বহুলা অভিযোগ কেন্দ্রে লাইনম্যান গ্রেড-১ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাড়িতে তার স্ত্রীসহ দুই শিশু সন্তান রয়েছে। সমিতিতে মোবারক হোসেনের স্ত্রীকে চাকরি দিতে হবে। এ ঘটনায় জড়িতদের চাকরি থেকে প্রত্যাহার করে তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য দাবি জানানো হয়।
এজিএম (ইএন্ডসি) শফিকুল ইসলাম ও জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার কবিরুল ইসলামের বক্তব্যের জন্য চেষ্টা করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ জিল্লুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান- এ ঘটনায় তদন্ত কমিটির গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সাপেক্ষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এনআই