গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে যাত্রীদের তেমন চাপ দেখা যায়নি। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সাধারণত এই সময়টাতে মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের ভিড় লেগে থাকে। কিন্তু আজ সকাল থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীদের চাপ একেবারেই কম। প্রতি ১৫-২০ মিনিট পরপর একটি করে বাস, যানবাহন চলাচল করছে। এতে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীদের সংখ্যা কম থাকায় পরিবহন শ্রমিকদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা, ভোগড়া বাইপাস, কালিয়াকৈরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইজ উদ্দিন বলেন, মহাসড়কে যানজট প্রতিরোধে হাইওয়ে পুলিশ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন পয়েন্টে আমাদের পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যাত্রীদের চাপ কম থাকায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে আগামীকাল শুক্রবার থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়তে পারে বলে ধারণা করছি। এজন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, চন্দ্রা ত্রিমোড়ে যাত্রীদের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে পুলিশ নজরদারি বাড়িয়েছে। যেখানে-সেখানে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা যাতে না হয়, সে বিষয়ে পুলিশ কড়া অবস্থান নিয়েছে।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ছুটি শুরু হলেও অনেকে এখনও ঢাকায় অবস্থান করছেন। মূলত আগামীকাল থেকে অধিকাংশ কারখানা ছুটি হওয়ায় তখন ঘরমুখী মানুষের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আজকের স্বাভাবিক অবস্থা যাত্রীদের স্বস্তি এনে দিয়েছে।
চন্দ্রা এলাকায় কর্মরত হাবুমিয়া বাস চালক বলেন, সকালে যাত্রী সংখ্যা একেবারেই কম ছিল। বাস চললেও সিট খালি থাকছে। এমন অবস্থা সাধারণত ঈদের আগে দেখা যায় না। তবে শুক্রবার থেকে চাপ বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) এস এম আশরাফুল আলম বলেন, যাত্রীদের স্বস্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে। যাত্রীদের চাপ কম থাকলেও যানজট এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বর্তমানে গাজীপুরের মহাসড়কগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন। তবে আগাম প্রস্তুতি না থাকলে শুক্রবার থেকে যাত্রীদের ভিড় সামলানো কঠিন হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এসআর