জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আকতারা বেগম (৪২) নামে চার কন্যা সন্তানের জননীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ঐ জননীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছেন সরিষাবাড়ি থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জিঙ্গাসাবাদের জন্য স্বামী শান্ত মিয়াসহ চার জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, নিহত ওই নারী পোগলদিঘা ইউনিয়নের গাছ বয়ড়া গ্রামের আঃ রশিদের ছেলে শান্ত মিয়া স্ত্রী এবং চকপাড়া গ্রামের মৃত ছফর আলী মন্ডলের মেয়ে। সে চার কন্যা সন্তানের জননী। পুত্র সন্তান না হওয়া পরিবারের মধ্যে সব সময় ঝগড়া ছিলো স্বামী-স্ত্রীর।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) গাছবয়ড়া এলাকার শ্বশুর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় আক্তারা বেগম। পরে তাকে তার স্বামীসহ স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মধ্য রাতে সবাই বাড়ী চলে যায়। আজ সকালে নিহতের বাবার বাড়ীর পাশে খলিলের পরিত্যক্ত ভিটায় আকতারা বেগমের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা পায় এবং নিহতের সুরতহাল শনাক্ত করে থানায় নিয়ে যায়।
এঘটনায় নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা ধারণা করছেন সম্ভবত তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে স্বামীর বাড়ী থেকে বাপের বাড়ী এলাকায় গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখে গেছে। আকতারা বেগমের পা মাটিতে স্পর্শ করে একটি ছোট চিকন গাছের সাথে যেভাবে ফাঁস নিয়েছে, তা দেখে এলাকাবাসী সহ সবার মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পুত্র সন্তান না হওয়া নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকতো।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো. চাঁদ মিয়া বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এনআই