মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯৪ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৬৭০ জন।
শনিবার (২৯ মার্চ) দেশটির জান্তা সরকার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।
গতকালের ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর রাজধানী নেপিডোর যেসব ছবি পাওয়া গেছে, সেগুলোয় রাস্তায় বড় আকারের ফাটল এবং ধসে পড়া ভবনের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।
মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার একজন উদ্ধারকর্মী বিবিসি বার্মিজ সার্ভিসকে বলেন, মৃত্যুর সংখ্যাও অনেক বেশি, আমরা এখন শুধু এটুকুই বলতে পারি। কারণ উদ্ধার অভিযান চলছে।
‘হতাহতদের সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। তবে এটি অন্তত শতাধিক।’
গতকাল শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় শহর সাগাইংয়ে ভূপৃষ্ঠের ১৬ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূকম্পটির এপিসেন্টার বা উৎপত্তিস্থল। মার্কিন ভূতাত্তিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, মিয়ানমারে ৭.৭ এবং ৬.৪ মাত্রার দু’টি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
ব্যাপক এই ভূমিকম্পের কম্পন মিয়ানমারের প্রতিবেশী দক্ষিণ-পশ্চিম চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশেও অনুভূত হয়েছে। এই ৬ দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে থাইল্যান্ডের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। রাজধানী ব্যাংককে কয়েকটি বহুতল ভবন ধসে পড়ায় এখনও নিখোঁজ আছেন শতাধিক মানুষ। এছাড়া দেশটিতে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ১০ জনের দেহ। এরা সবাই ভূমিকম্পে ভবন ধসে মারা গেছেন।
এমআর-২