পবিত্র ঈদুল ফিতরের সোনালী রৌদ্রে, হৃদয়ে সুখের ঝিলিক দরজায় কড়া নাড়িয়ে আসে খুশির বার্তা। আকাশে মেঘের মতো জমে থাকা অপেক্ষা, তেমনি হাজারো যাত্রীর মধ্যে আনন্দের সুর বাজছে। পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরতে, ঘরে ফিরতে, সকলেই ছুটে চলেছে দক্ষিণাঞ্চলের পথে।
শনিবার (২৯ মার্চ) সকাল থেকেই পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ে যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে যাত্রীদের পদধ্বনিতে। দক্ষিণাঞ্চলগামী লেনের দখলে অগণিত গাড়ি, দূরপাল্লার বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি এবং মাইক্রোবাস সবগুলোই ছুটছে গন্তব্যের দিকে। যেন কোনো এক মহাকাব্যের মতো একে একে এক্সপ্রেসওয়ের পথ পাড়ি দিচ্ছে।
ঢাকা থেকে শিবচর, শরিয়তপুর, ভাঙ্গা এসব অঞ্চলের যাত্রীরা আবারো পথে। একে অপরের দিকে ছুটে চলেছেন প্রিয়জনদের কাছে। যদিও রাস্তায় যানজট নেই, তবে বাড়তি ভাড়ার বিড়ম্বনা তাদের মাঝে কিছুটা চিন্তার সৃষ্টি করছে।
শনিবার এক্সপ্রেসওয়ের চিত্র ঘুরে দেখা যায়, গাড়ির বহর ছুটছে দক্ষিণাঞ্চলের পথে, বিপরীতে ঢাকাগামী পরিবহন প্রায় যাত্রীশূন্য।
শিবচর হাইওয়ে থানা সূত্র জানিয়েছে, ঈদ ঘিরে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও ট্রাফিক স্বাভাবিক রাখতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে টহল দিচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ, যাতে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন।
যাত্রীদের অভিমত ভিন্ন ভিন্ন। ঢাকাফেরত সজীব বললেন, পথে ভোগান্তি নেই, তবে ভাড়া দ্বিগুণ গুনতে হয়েছে।” মাহিয়া আক্তার জানালেন, “ভালোভাবেই আসতে পেরেছি, তবে লোকাল বাসে পথে পথে দেরি হয়েছে, ভাড়াও বেশি। অন্যদিকে, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও সিএনজি চালকদের মুখে ঈদের হাসি। যাত্রীদের চাপে আয় বেড়েছে তাঁদের। ইজিবাইক চালক হিরু হাওলাদার বললেন, ভাড়া বাড়াইনি, তবে যাত্রীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই একটু বেশি টাকা দিচ্ছেন।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম আশ্বস্ত করেছেন, যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে আমাদের টিম মহাসড়কে সার্বক্ষণিক কাজ করছে। ঈদযাত্রা যেন নির্ঝঞ্ঝাট হয়, সে জন্য একাধিক টহল টিম মোতায়েন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়ে যেন ঈদযাত্রীদের জন্য স্বস্তির বার্তাই বয়ে আনছে।
এসআর