পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট হয়ে বাড়ি ফিরছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি, লঞ্চ ও মহাসড়কে যানজট না থাকায় সহজেই ঘাট পার হচ্ছে যাত্রিরা।
শনিবার (২৯ মার্চ) সকাল থেকে ঘাটে যাত্রীদের ভিড় দেখা দেখা গেছে। তবে ভোগান্তি না থাকায় নির্বিঘ্নে পার হতে পারছে ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে যতগুলো ফেরি ও লঞ্চ দৌলতদিয়ায় ছেড়ে আসছে প্রতিটা লঞ্চ ও ফেরিতে চোখে পড়ার মতো যাত্রী ছিলো। যাত্রীরা দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে ও লঞ্চ ঘাটে নেমে যাত্রীবাহী পরিবহন, মাহেন্দ্র ও মোটরসাইকেলে চড়ে তাদের গন্তব্যে চলে যাচ্ছে। এদিকে ঘাটে যানজট না থাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাচঞ্চল থেকে আসা যানবাহন গুলো সরাসরি ফেরিতে ঢাকায় চলে যাচ্ছে।
ঢাকা থেকে আশরাফ আলী বলেন, গ্রামের বাড়িতে ফিরছি। ভোরে গাবতলি থেকে বসে উঠে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে এসেছি। সেখান থেকে ফেরিতে উঠে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে নামলাম। পথে ও ফেরি ঘাটে কোন ভোগান্তি নেই।
আরেক যাত্রি সাবিনা খাতুন বলেন,বাবা ঢাকাতে চাকরি করে। যে কারণে মা ও আমিও ঢাকাতে থাকি। গ্রামে দাদা-দাদি,কাকা-কাকিরা সবাই আছে। তাদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়িতে যাচ্ছি। অনেক দিন পর বাড়িতে খুবই আনন্দ হচ্ছে। বেশি আনন্দ লাগছে কোন ভোগান্তি ছাড়াই বাড়িতে ফিরছি।
লঞ্চ যাত্রি সাইফুল ইসলাম বলেন, খুবই ভালো পরবেশ সড়কে ভোগান্তি নেই। লঞ্চ, ফেরি ঘাটেও ভোগান্তি নেই। ঘরে ফেরা মানুষগুলো কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই বাড়িতে ফিরতে পারছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যাবস্থাপক মোঃ সালাহউদ্দিন সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, সকাল থেকে যাত্রি ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে কোন প্রকার যানজট বা ভোগান্তি নেই। ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রিরা নির্বিঘ্নে ফেরি পার হয়ে চলে যাচ্ছে। এই নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১৭ টি ফেরির মধ্যে ১৬ টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
এসআর