মক্কার মসজিদে হারামের বিভিন্ন কার্যক্রম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিশ্বে গণমাধ্যমে জায়গা করে নিচ্ছে একদল পেশাদার ফটোগ্রাফারের বদৌলতে। সেই ফটোগ্রাফারদের দলের অন্যতম সদস্য হলেন- নাদি আল ঘামদি। তিনি মসজিদে হারামের প্রথম লাইসেন্সপ্রাপ্ত নারী আলোকচিত্রী।
এ প্রসঙ্গে আল ঘামদি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার ক্যামেরা দিয়ে গ্র্যান্ড মসজিদের ছবি তোলার স্বপ্ন ছিল। আজ, আমি তা বাস্তবায়িত করেছি।’
সৌদি গণমাধ্যম আল-আখবারিয়া টিভি চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘গ্র্যান্ড মসজিদে নিয়মিত ছবি তোলা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল, কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি এবং আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’
‘ছোটবেলা থেকেই আমি ফটোগ্রাফির প্রতি আগ্রহী। আমি এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ছিলাম এবং ডিপ্লোমা শেষ করার পর, আমি ইনস্টিটিউট অফ ইসলামিক অ্যাফেয়ার্সে আবেদন করি। অনেক প্রচেষ্টার পর, আমি আমার স্বপ্নপূরণ করতে সক্ষম হয়েছি।’
নাদি আল-ঘামদি আরও বলেন, ‘গ্র্যান্ড মসজিদে ছবি তোলার অনুমতি পাওয়া প্রথম সৌদি মহিলা আলোকচিত্রী হতে পেরে আমি গর্বিত।’
এছাড়া আমাকে আকাশপথে ছবি তোলারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে আমি আমার ক্যামেরা ব্যবহার করে জাতীয় নিরাপত্তা হেলিকপ্টার থেকে গ্র্যান্ড মসজিদ এবং পবিত্র মসজিদের আকাশপথের দৃশ্য ধারণ করি।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদি আরব বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টা জোরদার করেছে এবং দেশটিতে ব্যাপক পরিবর্তনের অংশ হিসেবে তাদেরকে নেতৃস্থানীয় পদে নিয়োগ করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্বকারী ছয়জন মহিলা রাষ্ট্রদূত রয়েছেন।
২০১৮ সালে সৌদি আরব প্রথমবারের মতো নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়।
নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির পদক্ষেপ হিসেবে, সৌদি আরব নারীদের পুরুষদের অনুমোদন ছাড়া ভ্রমণ এবং পাসপোর্টের জন্য আবেদনের অনুমতি দেয়, যার ফলে তাদের ওপর দীর্ঘস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়।
এইচএ