রাজশাহী বিভাগসহ রংপুর বিভাগের দিনাজপুর খানসামা উপজেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কয়েকদিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। একটু প্রশান্তির আশায় মানুষ ছুটছে গাছের ছায়া কিংবা শীতল কোনো স্থানে। গরমের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে শিশুরা পুকুর কিংবা শ্যালো মেশিনের পানিতে দিন পার করছে।
শনিবার (০৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস।
সরজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন কেউ কেউ। গরমে সহ্য করতে না পেরে ছিন্নমূল মানুষ গাছের নিচে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। শুধু মানুষ বা প্রাণীকুল নয়, গরমের প্রভাব পড়ছে গাছ-গাছালিতেও। কোথাও কোথাও আম ও লিচুর বোটা শুকিয়ে গাছ থেকে ঝরে পড়তে দেখা যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তীব্র দাবদাহ চলছে সারাদেশে। এপ্রিলের শুরু থেকে দাবদাহ দিনের পর দিন বাড়ছে।
এলাকাবাসী বলছেন, গরমে কাজকর্ম ঠিক মতো করা যায় না। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে অনেক সমস্য হচ্ছে। সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। উপার্জনের জন্য বাড়ি থেকে বের হলেও ঠিকভাবে কাজ করতে পারছেন না তারা। অল্প একটুতেই হাঁপিয়ে যাচ্ছেন।
আবহাওয়ার এমন অবস্থায় নাজেহাল হয়ে পড়েছে এ এই উপজেলার জনজীবন। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না কেউই।
এমন গরমে ডায়রিয়া, নিউমনিয়া, সর্দি, কাশিতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বাড়ছে হিট স্ট্রোকের শংঙ্কাও। হাসপাতালগুলোতে বড়েছে রোগীর সংখ্যা।
চিকিৎসকরা বলছেন, দাবদাহে শিশু, বয়স্ক ও বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগীদের পরিচর্যায় তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে, বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
একই সাথে চিকিৎসকদের পরামর্শ, গরমে বেশি বেশি তরল খাওয়ানোর পাশাপাশি শিশু আর বৃদ্ধদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
দিনাজপুরের আবহাওয়া অফিসের অফিসার ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়েছে। শনিবার বিকেল ৩টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ জেলার উপর দিয়ে বহমান মৃদু তাপ প্রবাহটি অব্যাহত রয়েছে এবং এটির তীব্রতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এআই