অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গোটা অঞ্চল। যুদ্ধ বিরতি ভেঙে গত ১৮ মার্চ গাজায় ফের হামলা চালায় ইসরায়েলি সৈন্যরা। ওইদিন থেকে এখন পর্যন্ত দিনে গড়ে ১০০ শিশুকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী।
নিরীহ নারী-শিশুসহ অসংখ্য মানুষ পাখির মতো মারা পড়ছেন। আহতদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে গাজার আকাশ-বাতাস। গাজার এ ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে স্তব্ধ গোটা বিশ্ব। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, পেশা নির্বিশেষে মানুষ তাদের ব্যথিত হৃদয় দিয়ে গাজাবাসীর পাশে দাঁড়াচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগতভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই।
এই মানবিক ট্র্যাজেডিতে পিছিয়ে নেই শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও। বিশ্বের নানা দেশের সংগীতশিল্পী, অভিনেতা, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও মডেলরা গাজার সাধারণ মানুষের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছেন। কেউ প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়াচ্ছেন, কেউ গানের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। আবার কেউ তাদের সামাজিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মানবিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাতে। বাংলাদেশেরও অনেক শিল্পী-সংস্কৃতিকর্মী গাজা ইস্যুতে সামাজিক মাধ্যমে সংহতি জানিয়েছেন। এ তালিকায় আছেন ঢাকাই সিনেমার নায়ক সিয়াম আহমেদ।
সম্প্রতি ফেসবুকে এক পোস্টে এ বিষয়ে কথা বলেছেন এই নায়ক। সিয়াম বলেন, আমি যখন এই পোস্ট লিখছি ততক্ষণে গাজার অস্তিত্ব কী মুছে গেছে? আমরা কি পারলাম না এই শহরটাকে, এই দেশটাকে বাঁচাতে? ফিলিস্তিনের এই ধ্বংসাবশেষের দায় কি আমরা কেউ এড়াতে পারবো?
ফিলিস্তিনের শিশুদের প্রসঙ্গে সিয়াম আহমেদ বলেন, ফিলিস্তিনের জন্য আমার মনের কান্না কখনো থামাতে পারি নি। যখন ‘জংলি’র গল্প লেখা হচ্ছিল তখনও পাখির জায়গায় আমি বারবার ফিলিস্তিনি শিশুদেরকেই কল্পনা করতাম। আমরা কি শিশুদের জন্য একটা সুন্দর পৃথিবী উপহার দিয়ে যেতে পারবো না?
তিনি আরও বলেন, যখন যুদ্ধবিরতি চলছিল তখনও আমি শান্তি পাচ্ছিলাম না। শুধু মনে হতো, এই বিরতি কতক্ষণের? কতক্ষণ এই মানুষগুলো বাঁচবে আসলে? এই যে ঈদের পরপরই তাদের ওপর নরক নেমে আসলো, তার দায় কি এই পৃথিবী নেবে না? এই ওয়ার্ল্ড লিডারস, ইসলামিক স্কলারস, নোবেল লরিয়েটস, সাধারণ মানুষ, আমরা কেউ কি এড়াতে পারবো এর দায়? আল্লাহ, তুমি জান্নাতের দরজা খুলে দাও। এই পৃথিবী আর গাজাবাসীর জন্য নয়। আমরা পারি নি, আমরা পারলাম না।
এবি