মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে চিকিৎসকের ভুল অস্ত্রোপচারে নাজনিন আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল রবিবার বিকাল তিন টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের নিমতলা বসুমতির ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এতে ১০ লাখ টাকায় সমঝোতা হয়েছে।
এদিকে নিহতের স্বজনরা আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল দশটার দিকে ওই হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভাঙচুরের চেষ্টা চালালে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
জানা যায়, জেলার শ্রীনগর উপজেলার মধ্য হাষাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী নাজনিন আক্তার (২৪) পিত্তথলির সমস্যা নিয়ে গত রবিবার সকালে নিমতলা বসুমতি হাসপাতালে ভর্তি হন। সার্জন ডা. হাসান জুলকার ও এ্যানেসথেসিয়া ডা. মো. সাইফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে তাকে বিকাল তিনটার দিকে অপারেশন করার সময় নাজনিন আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকা ধোলাইপাড় ডেল্টা হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সোমবার নিহতের স্বজন ও উত্তেজিত জনতা হাসপাতালের পরিচালক মো. ফজলুর রহমানকে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং হাসপাতাল ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। পরে নিহতের স্বজনদের সাথে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সমঝতার ভিত্তিতে স্বজন ও উত্তেজিত জনতা চলে যায়।
নিহত নাজনিন আক্তারের মামা শাহীন শেখ জানান, যেহেতু একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে, এখন হেনস্তা করলে করা যাবে, কিন্তু আমার ভাগনীর ৮ মাসের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। তাই আমরা ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে একটা সমাধান করেছি।
বসুমতি হাসপাতালের পরিচালক ফজলুর রহমান বলেন, এবিষয়টি আমরা নিহতের পরিবারের সাথে সমাধান করেছি। তিনি আরও বলেন, নিহত নাজনিন আক্তারের একটি ৮ মাসের শিশু সন্তান রয়েছে, তার ভরণপোষণ বাবদ আমরা তাকে একটা এমাউন্ট দিয়ে দেবো।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জামশেদ ফরিদী জানান, এই বিষয়ে আমরা খবর পেয়েছি, বিষয়টি নিয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আসার পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং তিন কর্ম দিবসের ভিতরেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রদান করা হবে।
এবিষয়ে সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহেদ আল মামুন জানান, রোগীর নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতা হাসপাতালে হামলা চালাতে পারে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এআই