রমজানে রোজা রাখার কারণে ঘুমের সময়সূচি বদলে যেতে পারে, যা দীর্ঘ সময় ধরে কম ঘুমের কারণ হতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম না পেলে বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে।
দেখে নিন কম ঘুমের ৫টি স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে-
১. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া: কম ঘুম মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যকারিতাকে ব্যাহত করতে পারে, ফলে মনোযোগ কমে যায়, ভুল বেশি হয় এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়।
২. ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হওয়া: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে, যার ফলে সহজেই সর্দি, জ্বর বা সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৩. হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি: কম ঘুমের ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
৪. মেটাবলিজমের সমস্যা ও ওজন বৃদ্ধি: অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয় এবং ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
৫. মানসিক চাপ ও মুড পরিবর্তন: কম ঘুমের কারণে দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ ও হতাশা বেড়ে যেতে পারে। এতে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় এবং সামান্য বিষয়েও রাগ বা হতাশা অনুভব হতে পারে।
পরামর্শ-
১. রাতের ঘুম কম হলেও দিনে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়ার চেষ্টা করুন।
২. সেহরির পর বা দুপুরে ২০-৩০ মিনিটের "পাওয়ার ন্যাপ" নিলে কিছুটা ঘাটতি পূরণ হতে পারে।
৩. ইফতারের পর ভারী খাবার কমিয়ে হালকা খাবার খান, যাতে ঘুম ভালো হয়।
৪. ইবাদত ও অন্যান্য কাজের সময় পরিকল্পনা করে নিন, যাতে ঘুমের পরিমাণ যথেষ্ট থাকে।
তবে ঘুমের সমস্যা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এবি