এইমাত্র
  • যশোরে শহীদ আব্দুল্লাহর পরিবারে ঈদ আনন্দ কেটেছে বেদনায়
  • ঈদে কারাবন্দিদের জন্য থাকছে যেসব খাবার
  • লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে দিনাজপুরে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত
  • ঈদের জামাতে দ্রুত নির্বাচন চেয়ে দোয়া প্রার্থনা
  • আগামীতে আরও বড় পরিসরে ঈদ উদযাপন করব: উপদেষ্টা আসিফ
  • যত বাধাই আসুক ঐক্যবদ্ধ থেকে নতুন বাংলাদেশ গড়ব
  • জাতীয় ঈদগাহে প্রধান উপদেষ্টার ঈদের নামাজ আদায়
  • লোহাগাড়ায় ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত
  • জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত
  • ঈদের দিনেও গাজায় ই’রায়েলি হামলা, নিহত ৬৪
  • আজ মঙ্গলবার, ১৭ চৈত্র, ১৪৩১ | ১ এপ্রিল, ২০২৫
    শিক্ষাঙ্গন

    বাজারের মুরগির মাংসে সালমোনেলা ও ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া!

    মো. রিয়াজ হোসাইন, বাকৃ‌বি প্রতি‌নি‌ধি প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১১:২৫ এএম
    মো. রিয়াজ হোসাইন, বাকৃ‌বি প্রতি‌নি‌ধি প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১১:২৫ এএম

    বাজারের মুরগির মাংসে সালমোনেলা ও ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া!

    মো. রিয়াজ হোসাইন, বাকৃ‌বি প্রতি‌নি‌ধি প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১১:২৫ এএম

    টিউশনের বেতন পেয়ে বেশ খুশি সাকিব। একটু ভালো খাবারের আশায় ময়মনসিংহের কেওয়াটখালী বাজার থেকে দুই কেজি ব্রয়লার মুরগির মাংস কিনে আনেন। রাতে বন্ধুদের নিয়ে খাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় তীব্র ডায়রিয়া ও পেটে ব্যথা।

    শিক্ষার্থীদের এমন অভিজ্ঞতার কারণ অনুসন্ধানে গবেষণা করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেন।

    গবেষণার অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ সদরের ১২টি স্থানীয় বাজার—চরপাড়া, মিন্টু কলেজ বাজার, মেছুয়া বাজার, নতুন বাজার, সানকিপাড়া, কেওয়াটখালী, শেষমোড়, সুতিয়াখালী, ভাবখালী, কে.আর. মার্কেট, শম্ভুগঞ্জ ও গাছতলা বাজার থেকে মোট ২৬টি মুরগির মাংসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এসব নমুনা বাকৃবির মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। পাশাপাশি ১২টি বাজারের ২৪টি পোল্ট্রি দোকানের কর্মীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় এবং ২‌টি পা‌নির নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

    পরীক্ষায় দেখা গে‌ছে, সংগ্রহ করা মাংসে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ লগারিদম ৪.০২ থেকে ৫.৫৯ সিএফইউ/গ্রাম এবং ইকোলাই ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ লগারিদম ৪.০১ থেকে ৫.৯৪ সিএফইউ/গ্রাম পর্যন্ত পাওয়া গেছে। যা স্বাভাবিক মাত্রার তুলনায় বেশি। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো টাইফয়েড ও ডায়রিয়ার মতো মারাত্মক রোগের জন্য দায়ী।

    গ‌বেষণায় প্রাপ্ত তথ্য বি‌শ্লেষণ ক‌রে অধ্যাপক ড মো ই‌লিয়াস হো‌সেন আরও জানান, ৮৪.৬২ শতাংশ দোকানে মুরগি রাখার পর্যাপ্ত জায়গা নেই, ৯২ শতাংশ দোকানে ময়লা পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই এবং ৪৬.১৫ শতাংশ দোকানে পর্যাপ্ত আলো ছিল না। এছাড়াও, ৩০.৭৭ শতাংশ দোকানে মাংস কাটার জায়গা অস্বাস্থ্যকর ছিল এবং পরিকল্পিত বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা ছিল না। এরকম পরিস্থিতি ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি এবং দূষণের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে। যা দূষিত মাংসের মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।

    স্বাস্থ্যকর মাংস প্রাপ্তির বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, এই সমস্যা সমাধানে স্থানীয় বাজারগুলোতে ক্ষুদ্র প্রসেসিং ইউনিট স্থাপন কর‌তে হ‌বে। যার মাধ্যমে ক্রেতাদের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত মাংস পৌছে দেওয়া সম্ভব। এর জন্য প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে স্থানীয় বাজারের পোল্ট্রি দোকানীদের ক্ষুদ্র প্রসেসিং ইউনিট স্থাপনে উৎসাহিত করতে হবে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পোল্ট্রি মুরগি বিক্রি বন্ধ করতে হবে। ক্রেতা ও বি‌ক্রেতা‌দের স্বাস্থ্যকর মাংস প্রক্রিয়াকরণ সর্ম্পকে স‌চেতন কর‌তে হ‌বে।

    এই গবেষণা প্রতিবেদনটি ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ শাখা কর্তৃক আয়োজিত ১৩তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি শো-২০২৫-এ উপস্থাপিত হয়।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…