এইমাত্র
  • গণঅভ্যুত্থানের বীরগাথা জাতিসংঘে তুলে ধরবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষ: কী ঘটেছিল জানালেন মুসল্লিরা
  • বিদেশি শিক্ষার্থী প্রবেশে আরও কঠোর পদক্ষেপ কানাডার
  • বাবা-মা ও ভাইয়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফাজ্জল
  • গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ, তথ্য যাচাই করছে পুলিশ
  • ইসরাইলকে ‘বিপর্যয়কর জবাব’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি ইরানের
  • সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, জাবির ৮ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা
  • ফলো অনের শঙ্কা নিয়ে চা বিরতিতে টাইগাররা
  • কারাগারে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান
  • খাগড়াছড়ির পর রাঙামাটিতেও সংঘাত, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • আজ শুক্রবার, ৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
    বিনোদন

    ঢাকা-জাহাঙ্গীরনগরে কি ২-৪ জন ছিল না রুখে দাঁড়ানোর: ফারুকী

    বিনোদন ডেস্ক প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৮ পিএম
    বিনোদন ডেস্ক প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৮ পিএম

    ঢাকা-জাহাঙ্গীরনগরে কি ২-৪ জন ছিল না রুখে দাঁড়ানোর: ফারুকী

    বিনোদন ডেস্ক প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৮ পিএম

    দেশের বিভিন্ন জায়গায় ‘মব জাস্টিস’ বা গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। তবে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে তোফাজ্জল নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে সারাদেশ।

    এমন হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাচ্ছেন সর্বমহলের মানুষ; থেমে নেই দেশের শোবিজ অঙ্গনও। তাই আলোচিত এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে আর চুপ থাকতে পারলেন না চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী। মুখ খুলেছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীও। ক’দিন আগেও তিনি এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, ‘মবরাজ থামান। শৃঙ্খলা আনেন।’

    কিন্তু এমন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থামছেই না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের সামনে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে মারধর করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

    ফলে আবারও এ বিষয়ে নিজের মতামত জনালেন নির্মাতা। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে ফারুকী লিখেছেন, ‘তুমি যদি স্বাধীনতার মর্ম না বোঝো, তাহলে তুমি স্বাধীনতার স্বাদ হারাবে। আব্বার কাছে শুনতাম, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেকের মধ্যেই জোশ চলে আসছিল যে সে-ই সব। সে নিজেই অভিযোগকারী, নিজেই বিচারক, নিজেই এক্সিকিউশনার। হাতে অস্ত্র আছে, অথবা আছে মবের শক্তি। সুতরাং মার, মেরে ফেল। ফল কী হয়েছিল আমরা জানি।

    বিগত সময়ে ঘটা এমন কিছু ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আচ্ছা, স্বাধীনতার পর না হয় একটা বিশৃঙ্খল অবস্থা ছিল, এমন কি যখন আওয়ামী লীগের কঠিন আঁটুনির ভেতর আটকা ছিল দেশ, তখনও কি আমরা বাড্ডার এক মাকে ছেলেধরা সন্দেহে মারি নাই? রংপুরে নামাজের পর এক মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে মেরে পুড়িয়ে দেই নাই?

    কিন্তু ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন হলে যে প্রত্যাশা করেছিলেন সেটি ব্যক্ত করে এই নির্মাতা বলেন, ‘আমি আশা করছিলাম, এই নতুন স্বাধীনতা প্রাপ্তির সাথে সাথে নতুন দায়িত্বের ব্যাপারটা আমার উপলব্ধি করব। আমাদের দিলে রহম জিনিসটা আসবে। একশ’ জন মববাজি করতে আসলে দুইজন হলেও রুখে দাঁড়াবে! ঢাকা আর জাহাঙ্গীরনগরে কি এ রকম চারজন ছাত্র ছিল না রুখে দাঁড়ানোর? এটা লজ্জার, বেদনার।

    সবশেষে সবাইকে দায়িত্ববান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফারুকী বলেন, সবাই দায়িত্ব নিই চলেন। মববাজি বন্ধ করেন। ফ্যাসিবাদিদের ফাও আলোচনার বিষয় উপহার দেয়া থেকে বিরত থাকেন। প্লিজ। আলোচনাটা থাকতে দেন রিফর্মে, ফ্যাসিবাদের বিচারে।

    এবি

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…