আগামী বছরের মধ্যে বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীদের প্রবেশ সীমিত করার ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে কানাডা। কানাডার ইমিগ্রেশন মন্ত্রী মার্ক মিলার এক বিবৃতিতে এ তথ্য সবার সামনে তুলে ধরেন। এক প্রতিবেদনে আইসেফ মনিটর এ তথ্য জানায়।
মার্ক মিলারের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৬ সালের মধ্যে অস্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা ৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।
মিলার আরও বলেন, এখন থেকে আর চাইলেই কানাডায় প্রবেশ করা যাবে না। ইতিমধ্যে যারা প্রবেশ করেছেন, তারা-ও চাইলেই স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাবেন না।
ইমিগ্রেশন মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২০২৫ সালে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৩৭ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীকে কানাডায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে।
বিগত বছরগুলোতে অভিবাসীদের স্বাগত জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে করোনা মহামারির ধাক্কা কেটে যাওয়ার পর বদলে যায় পরিস্থিতি। এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলো থেকে জোয়ারের মতো আসতে থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে থাকে কানাডা কর্তৃপক্ষ।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২৩ সাল থেকে বিদেশি শিক্ষার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রবেশ সীমিত করার পদক্ষেপ নেয় কর্তৃপক্ষ। দেশটির পরিসংখ্যান দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৯০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীকে প্রবেশ করতে দিয়েছিল কানাডা। বিপরীতে ২০২৪ সালের প্রথম সাত মাসে প্রবেশ করতে পেরেছেন মাত্র ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯২০ জন।
সম্প্রতি, স্থানীয় সরকারের এক নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি পরাজিত হয়। প্রকৃতপক্ষে, দলটির এমন ফলাফলের পেছনে বড় কারণগুলোর একটি হচ্ছে ভোটারদের অভিবাসীবিরোধী মনোভাব।
এমন পরিস্থিতিতে, সামগ্রিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীদের প্রবেশ সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এসএফ