হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে ভারত থেকে চাল আমদানি। এতে দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি চালের দাম কমেছে এক থেকে দুই টাকা।
আমনের ভরা মৌসুমেও অস্থির দেশের চালের বাজার। তবে বাজারে বেড়েছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চালের আমদানি। আর তাতেই এবার কমতে শুরু করেছে দাম।
বর্তমানে বন্দরটি দিয়ে স্বর্ণা-৫, শম্পা কাটারি, রত্না, আতপসহ আরও কয়েক ধরনের চাল আমদানি হচ্ছে। সব ধরনের চালের দাম কমেছে এক থেকে দুই টাকা পর্যন্ত।
হিলি স্থলবন্দরে চাল কিনতে আসা পাইকার সুমন বলেন, হিলি বন্দরে পর্যাপ্ত চালের আমদানি হচ্ছে। চালের গুণগত মান অনেক ভাল, তাছাড়া দামও কমেছে। চালের দাম কমেছে দেড় থেকে দুই টাকা পর্যন্ত। এভাবে চালের দাম কমতে থাকলে বাজারেও কমবে।
আব্দুর রহমান নামে আমদানিকারকদের এক প্রতিনিধি বলেন, গত দুইদিন আগেও ৪০/৯৪ জাতের সরু চালের দাম ছিল ৬৫ টাকা, বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৬৩ টাকায়। এছাড়া শম্পা কাটারি ৩ টাকা কমে ৬৭ টাকা ও আতপ ২ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক মোস্তাক আহম্মেদ (মাস্টার) বলেন, সরকার চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুল্ক উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। গত ১১ই নভেম্বর থেকে চাল আমদানি শুরু করে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। প্রথমদিকে ২০ থেকে ২৫ ট্রাক চাল আমদানি হলেও এখন তা দাঁড়িয়েছে ৫০ থেকে ৮০ ট্রাকে।
এতদিন কেন চালের দাম কমেনি-এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ডলারের ঊর্ধ্বমুখী দাম ও ভারতীয় ব্যবসায়ীরা চালের বুকিং রেট বাড়ানোয় বেড়েছিল চালের দাম। ফলে এত চাল আমদানির পরেও কোনো প্রভাব পড়েনি দামে। তবে বর্তমানে ক্রেতা সংকট ও ডলারের দাম স্বাভাবিক হয়ে আসায় চালের দাম কমেছে।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চালের আমদানি বেড়েছে। আগে ২০ থেকে ৩০ ট্রাক আমদানি এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ থেকে ৮০ ট্রাকে। আবার কোনো কোনো দিন ১০০ ট্রাকের বেশি আমদানি হচ্ছে। তাছাড়া চাল দ্রুত বন্দর থেকে ছাড় দিতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
হিলি কাস্টমস ও বন্দরের তথ্যমতে, ১১ ই নভেম্বর থেকে ১৩ই জানুয়ারি পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় ২ হাজার ২৮৬ ট্রাকে ৯৩ হাজার ৫০ মেট্রিক টন আমদানি হয়েছে।
এবি